Shadow

শ্লোক থেকে ব্লগ

সাহিত্য বিভাগ, প্রবন্ধ গল্প ও কবিতা

যুদ্ধ-কাজরী বসু

যুদ্ধ-কাজরী বসু

কবিতা, শ্লোক থেকে ব্লগ
যুদ্ধ কাজরী বসু মধ্যিখানে ব্রেক নিও আজ। যুদ্ধটায়।  অনেক যুদ্ধ ঘরেই রইল। বন্দুকও।  চোখ রেখেছে মেয়ের দিকে। জঙ্গিরা।  ছিঁড়ছে খাচ্ছে হাত বাড়াচ্ছে। জঙ্গি নয়?  উগ্রগন্ধী আগুন পুষছি। ডোমেস্টিক ।  হিংসে রাখছি হিংসে খাচ্ছি। খুঁজছি ব্লেড।  কান্নাগন্ধে উথলে উঠল রান্নাঘর।  অন্য আর কী ব্যাখ্যা দিচ্ছ সন্ত্রাসের?  হচ্ছি বন্ধু হইনি বন্ধু, জানলে না।  রাগ রেখেছি গুপ্ত অস্ত্রে। বাঘনখে।  বোতল ভরছি কোতল করছি। হাসছি খুব।  আমার কাছে অর্থ শিখবে কোন প্রেমের?  গন্ধ আসছে। গন্ধ পাওয়ার প্রশ্নতে  উত্তরে ভুল,দক্ষিণে ভুল। কোনটা ঠিক?  যুদ্ধ হচ্ছে যুদ্ধ চলছে সবখানে।  পারলে থামাও। বাঁধ দিয়েছ বন্যাতে ? কাজরী বসু : কাজরী বসু কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে সাম্মানিক বাংলায় স্নাতক। স্নাতকোত্তর পড়াশোনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাংলায় মাস্টার্স করার পর শিক্ষাব্রতী কাজরী নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করেন।...
যন্ত্রবৎ – দিলীপকুমার মিত্র

যন্ত্রবৎ – দিলীপকুমার মিত্র

কবিতা
যন্ত্রবৎ দিলীপকুমার মিত্র বৃষ্টিস্নাত শীতের সকালে যখন হাওয়ার ডানায় ভর করে শীকরেরা হানা দেয় ঘরে, লুটোপুটি খায় সোয়েটারে, চাদরে --- তখনই, কেবল তখনই আমার হিমের জন্যে মন কেমন করে নইলে শীকর তো ঝর্ণাকলেও ওড়ে! ঘোরতর শীতের মাঝেও যেদিন মেঘলা আকাশ, তাই মৃদু মৃদু ঘাম বালাপোশ বাড়তি মনে হয়, জড়ো হয় পায়ের তলায় --- সেইদিন, কেবল সেইদিনই আমার ওমের জন্য মন কেমন করে, নইলে উত্তাপ তো হীটারও ছড়ায়! প্রতিদিনের আসা যাওয়ার মাঝে, পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ দেখা যেদিন বাঁধভাঙা কলতান আনে হৃদয়, শরীর জুড়ে, আনে মনেপ্রাণে --- সেই, কেবল সেই মুহুর্তেই আমার তোমার জন্যে মন কেমন করে, নইলে যন্ত্রবৎ তুমিই তো নিত্য এ জীবনে ।। দিলীপকুমার মিত্র দিলীপকুমার মিত্র পরিচিতি: পৃথিবীর আলো দেখা ১৯৬৬ সালে। বেড়ে ওঠা এবং পড়াশোনা বর্ধমান শহরে। পেশায় একটি সর্বভারতীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক। নেশায় পাঠক। শখে লেখালেখি।...
‘বাংলার বুলবুল’ উমা বসু : জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি – রাজেশ দত্ত

‘বাংলার বুলবুল’ উমা বসু : জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি – রাজেশ দত্ত

সংস্কৃতির বৈঠক
'বাংলার বুলবুল' উমা বসু : জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি রাজেশ দত্ত উমা বসু। স্বর্ণযুগের বাংলা গানের আকাশে এক ক্ষণপ্রভা উজ্জ্বল নক্ষত্র। বিশ শতকের দুই ও তিনের দশকে বাংলার সংগীত জগতে তিনি ছিলেন এক বিস্ময় প্রতিভা। 'বাংলার বুলবুল' হিসেবে খ্যাত উমা বসু তাঁর ডাকনাম 'হাসি' নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। অনন্যসাধারণ এই সংগীত শিল্পীর জন্ম ১৯২১ সালের ২২ জানুয়ারি। জীবনাবসানও ওই একই তারিখে, ২২ জানুয়ারি,  সালটা ১৯৪২। জন্মগ্রহণ আর অকাল মৃত্যুর মধ্যে মাত্র একুশটি বসন্ত। এই স্বল্প আয়ুষ্কালেও তাঁর সাংগীতিক প্রতিভার কী অলোকসামান্য বিচ্ছুরণ! কিন্নরকন্ঠী এই গায়িকার অপ্রতিম গানের উজ্জ্বল আলোকচ্ছটায় বাংলা সংগীতের প্রাঙ্গণ উদ্ভাসিত হয়েছিল। কলকাতায় শিল্প-সংস্কৃতির ঐতিহ্যসম্পন্ন এক নামী, বিদগ্ধ ও অভিজাত পরিবারে তাঁর জন্ম হয়েছিল। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। মায়ের নাম প্রভা বসু (মিত্র)। খ্যাতনামা স্থপত...
দ্বিতীয়া‌-মৃগাঙ্ক‌‌ ‌‌ভট্টাচার্য‌

দ্বিতীয়া‌-মৃগাঙ্ক‌‌ ‌‌ভট্টাচার্য‌

গল্প, শ্লোক থেকে ব্লগ
দ্বিতীয়া‌ মৃগাঙ্ক‌‌ ‌‌ভট্টাচার্য‌ -  আপনার স্ত্রীর অসংলগ্ন আচরণ আপনি প্রথমবার লক্ষ করেছিলেন গত বছর পয়লা জানুয়ারি। কী তাই তো ? সেদিন একজ্যাক্টলি কী হয়েছিল আর একবার শুরু থেকে বলুন প্লিজ। -ডুয়ার্সে গতবার পয়লা জানুয়ারির ভোর থেকে শুরু হয়েছিল ধুন্ধুমার বৃষ্টি। আমি গভীর ঘুমে ডুবে ছিলাম। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ডেকে তুলেছিল বিপাশা। আমি ধড়মড় করে উঠে ভেবেছিলাম ভূমিকম্প হচ্ছে। দু’-এক মুহূর্ত পর বুঝতে পারলাম বাড়ি দুলছে না কাঁচের জানলার বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। একটু ধাতস্থ হয়ে দেখি বিপাশা অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী হয়েছে ? বিপাশা নার্ভাস গলায় বলল ও আর বেঁচে নেই। - বেঁচে নেই মানে ? -প্রথমে ভেবেছিলাম ঠাট্টা করছে। কিন্তু পরমুহূর্তে বুঝলাম যে তা নয়। বিপাশার চোখেমুখে একটা বিহ্বল ভাব। ভাবলাম বাজে স্বপ্ন দেখেছে। ওর কাঁধ ধরে ঝাঁকি দিয়ে বললাম, রিল্যাক্স। একটু জল...
দীর্ঘ ও হ্রস্ব – অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য

দীর্ঘ ও হ্রস্ব – অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য

পাকা চুলের কলমে
দীর্ঘ ও হ্রস্ব অগ্নিমিত্র ভট্টাচার্য্য প্রথম যুগের শান্তিনিকেতনের  ছবি যখন মানসপটে ফুটে ওঠে, রবীন্দ্রনাথকে কেন্দ্র করে যে সকল দিকপাল মানুষের  উপস্থিতি  সেই সময়ের আশ্রমকে  সৌরজগতের মতো অধিষ্ঠিত করে তুলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে  দীনেন্দ্রনাথ  ঠাকুর ছিলেন অন্যতম! সম্পর্কে তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথের নাতি। রবীন্দ্রনাথের বড়দা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি ২০ বছরের বড়ো ছিলেন কবির চেয়ে, তাঁর নাতি দীনেন্দ্রনাথ ছিলেন রবীন্দ্রনাথের থেকে ঠিক ২০  বছরের ছোট। তাঁর মতো  সদাহাস্যময়, সুকন্ঠের অধিকারি, নাট্যকুশলী, স্নেহময়, অতিথিবৎসল ও সর্বোপরি বিশাল মাপের  সঙ্গীত প্রতিভা  শান্তিনিকেতনের ইতিহাসে বিরল! রবীন্দ্রনাথের রচিত  প্রায় আড়াই হাজার গানের  সিংহভাগের স্বরলিপিকার, শান্তিনিকেতনের অন্যতম প্রাণপুরুষ দীনেন্দ্রনাথকে, রবীন্দ্রনাথ  শুধুমাত্র তাঁর  "গানের ভাণ্ডারী" আখ্যায় ভূষিত করেই ক্ষান্ত থাকেন নি, তাঁর পরম স্নেহের "দীন...
দমকা হাওয়া-কঙ্কনা সেন

দমকা হাওয়া-কঙ্কনা সেন

কবিতা, শ্লোক থেকে ব্লগ
দমকা হাওয়া কঙ্কনা সেন সেদিন এক দমকা হাওয়া নিশ্চিন্ত চতুষ্কোণ থেকে ধাক্কা মেরে আমাকে নামিয়ে দিল পথে। মাথার ওপর নেই নীলাকাশ গনগনে খই ফোটানো উল্টোনো তপ্ত কড়াই ভাবার নেই কোনো অবকাশ। সেই থেকে হেঁটেই চলেছি পায়ে পা। পথ বলল," কোথায় যাবে?" ----" ওই যে লালে লাল পলাশ ওখানে গিয়ে শরীরে মনে রঙিন হবো"। পথ হাসে।"আরে, বসন্ত যে শেষ। পলাশের শেষ কুঁড়িটাও গেছে ঝরে রোদের দাবদাহে"। সম্বিত ফিরে বলি,"তাই তো। তবে যাই ওই বটগাছটার তলে ওর ছায়ায় জুড়োব প্রাণমন"। পথ বলে,"যাও।এগিয়ে যাও। থেমো না।" সেই থেকে হেঁটেই চলেছি। ক্লান্তিটাকে ছুঁড়ে ফেলেছি কিন্তু কিছুতেই ঠাহর হচ্ছে না বটগাছটা আর কতোদূর? কঙ্কনা সেন: রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম, এ। ছোট থেকেই কবিতার প্রতি ভালোবাসা। বিশ্বাস মানবতায়। পেশা - শিক্ষকতা।...
বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (প্রথম ভাগ) – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (প্রথম ভাগ) – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

ধারাবাহিক, প্রবন্ধ
  বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর রঞ্জন চক্রবর্ত্তী (প্রথম ভাগ) ত্রয়োদশ শতকে বাংলা মুসলমান সুলতানদের শাসনাধীন হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অবক্ষয় দেখা দেয়। এরপর ঔপনিবেশিক শাসকদের আমলে ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস গভর্ণর জেনারেল হন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ভারতে ব্রিটিশ শাসনকে দৃঢ় করতে হলে স্থানীয় মানুষদের আয়ত্বে রাখতে হবে এবং তাদের মনোভাব বুঝতে হবে। এজন্য স্থানীয়দের ভাষা, রীতিনীতি, ধর্ম ও আচার-ব্যবহার জানা দরকার। এই উদ্দেশ্য তিনি যে সংস্কারমূলক কাজগুলি শুরু করেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিল বাঙালীর ভাষা ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেওয়া। প্রশাসনিক কাজে সহায়তা ছাড়াও এর পিছনে একটি পরোক্ষ কারণ ছিল। খ্রিষ্টান মিশনারীরা বুঝেছিলেন দেশীয় মানুষদের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করতে হলে তাদের ভাষা ও ধর্ম জানা আবশ্যক। ইংল্যাণ্ড থেকে যেসব কর্মচারীরা প্রশাসনিক কাজের জন্য এদেশে ...
ফিরে চাওয়া ফিরে দেখা -মধুমিতা মিত্র

ফিরে চাওয়া ফিরে দেখা -মধুমিতা মিত্র

প্রবন্ধ, শ্লোক থেকে ব্লগ
ফিরে চাওয়া ফিরে দেখা মধুমিতা মিত্র কুলায় ফেরা এই শব্দ বন্ধটি নিজের মনে নাড়াচাড়া করতে করতে বিচিত্র এক অনুভূতির উন্মেষ হল। আমাদের চিন্তা প্রকাশের এক নতুন ঠিকানা কুলায় ফেরা। ভোরের আলো ফোটার সাথে পাখি তার নীড় ছেড়ে বেরোয় জীবনের সন্ধানে। জীবন মানে শারিরীক ক্ষুধা, মানসিক চাহিদা, তৃপ্তি সবকিছু জড়িয়ে আবার সবকিছু ছাপিয়েও।সারা দিনমানের পরিশ্রম অভিজ্ঞতায় জারিত হয় তার এক-একটি দিন।দিন শেষে আবার নীড়ে ফেরা বা কুলায় ফেরা পরের দিনের শক্তি বুদ্ধির উজ্জীবনে বা সঞ্জীবনেও। আমাদের কুলায় ফেরা প্রতিদিনের নয়-জীবন সায়াহ্নের কুলায় ফেরা। জীবন যখন শুরু হয়েছিল তখন ছিল নিজেকে ছড়িয়ে দেওয়া,বহুল মধ্যে নিজেকে ছড়িয়ে শুধু সঞ্চয়নের খেলা। সেই সঞ্চয়নে  ছিল না লাভ ক্ষতির হিসেব। কিন্তু তাৎক্ষণিক ক্ষতি দেখালেও আখেরে লাভের পাল্লা  হয়েছে ভারী।ঠোক্কর খাওয়া অভিজ্ঞতা বলছে ভালো-মন্দের কথা।মন্দের হাত ধরে এসে...
কোন ক্ষ্যাপা সে-প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

কোন ক্ষ্যাপা সে-প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

গল্প, শ্লোক থেকে ব্লগ
কোন ক্ষ্যাপা সে !! প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কবিগুরু লিখেছিলেন, “আমি নটরাজের চেলা চিত্তাকাশে দেখছি খেলা, বাঁধন খোলার শিখছি সাধন মহাকালের বিপুল নাচে। দেখছি, ও যার অসীম বিত্ত সুন্দর তার ত্যাগের নৃত্য, আপনাকে তার হারিয়ে প্রকাশ আপনাতে যার আপনি আছে। যে-নটরাজ নাচের খেলায় ভিতরকে তার বাইরে ফেলায়, কবির বাণী অবাক মানি' তারি নাচের প্রসাদ যাচে।”   রাত্রি তখন নিশুতি। পুরীর সাগরবেলা জনমানবহীন। কয়েকটি সারমেয় সপরিবারে ভ্রমণ পিপাসুদের ফেলে যাওয়া উচ্ছিষ্ট নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে। পরের পর সাগর তরঙ্গ বিকট গর্জন করে ভেঙে পড়ছে বালুকাময় সৈকতে। বিরতিহীন সেই ব্যস্ততা। অষ্টপ্রহর ভীমভৈরবে তান্ডব দেখিয়ে চলেছে সে।জনশূন্য সৈকতে একটা পাগল গোছের লোক দেখি সমুদ্রের দিকে চেয়ে রয়েছে। মুখে অপার প্রশান্তি। কাছে গিয়ে দেখি, মিটিমিটি হাসছে সে। দিনের প্রখর রৌদ্রতাপে দেখেছিলাম তাকে নিরাবরণ। রাত্রে সামুদ্রিক হিমেল হা...
লাস্ট বেঞ্চার-রাজু সেনগুপ্ত

লাস্ট বেঞ্চার-রাজু সেনগুপ্ত

শ্লোক থেকে ব্লগ, সৃষ্টিসুখে ঘরছাড়ারা
লাস্ট বেঞ্চার রাজু সেনগুপ্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ। অমলেন্দু স্যার সবাইকে কি ভাবে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে সেটা বলার পরে আমরা সবাই ফর্ম ফিলাপ করবো। স্যার বল্লেন প্রথম লাইনে সবাই নিজের নাম লেখো। ফর্ম ফিলাপটা একটা পরীক্ষার মতই আমার কাছে। আমি সোমনাথ কে গুঁতো মেরে বলি," দেখা না কি লিখলি"! সোমনাথ রেগে যায়। বলে,নিজের নামটা লিখবি সেটাও নিজে লিখতে পারছিসনা। সেটাও দেখাতে হবে!স্যার এবার সব বেঞ্চে গিয়ে দেখে নিলেন সবাই নিজের নামটা সঠিক ভাবে লিখেছে কিনা। ততক্ষণে আমার বুদ্ধি খুলে গেছে , আমি সঠিক জায়গায় আমার নাম লিখে বসে আছি। এক্কেবারে ১০ এ ১০! দ্বিতীয় লাইনে বাবার নাম। স্যার এবার সব্বাইকে সতর্ক করে দিলেন বাবার নাম লেখার সময়, বাবার নামের আগে কেউ যেনো "শ্রী”,"শ্রীযুক্ত" না লেখে। শুধু বাবার নাম। আমার তখন ফ্লো এসে গেছে! সোমনাথ কে আর বিরক্ত করছি না। হঠাৎ একটা গুড়ুম করে কিলের আওয়াজ, আর সোমনাথের গগনভেদী ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!