Shadow

Author: Kulayefera

সম্পাদকীয় – “কুলায়ফেরার কাশবন ৫”

সম্পাদকীয় – “কুলায়ফেরার কাশবন ৫”

কাশবন ৫
সম্পাদকীয় ' কুলায়ফেরার কাশবন ৫ '   “আকাশ জুড়ে শুনিনু ওই বাজে তোমারি নাম সকল তারার মাঝে। ..আঁধারে মোর তোমার আলোয় জয় গভীর হয়ে থাক জীবনের কাজে।।..” দীর্ঘ অপেক্ষার পর বছর ঘুরে  আবার মা আসছেন। বর্ষা শেষে আকাশে পেঁজা তুলোর মতন মেঘ। মাঝে মধ্যে সোনালী উঁকিঝুঁকি। তপ্ত দ্বিপ্রহরের পর সন্ধ্যায় একটু যেন হিমের ছোঁওয়া। কিন্ত সব থেকেও কি যেন নেই। শরৎ প্রভাতেও কেন মনে হচ্ছে এ কোন সকাল! রাতের চেয়ে অন্ধকার? মাঝে মাঝে মনে হয়,এত অন্ধকার কেন? কিন্ত এর পরও হঠাৎ হঠাৎ আবার আলোর ঝলকানি মনে সাহস আনছে! এ যেন অরোরা বোরিয়ালিস! সত্যি বলতে কি,নারীর চোখের জলের মতন অমূল্য আর বিশ্বব্রহ্মান্ডে কিছু নেই। নারী আমাদের জন্মদাত্রী মাতা। নারী আমাদের সহেদরা,আমাদের অর্ধেক আকাশ। এই আকাশ কেন মেঘাচ্ছন্ন হবে? নারী কিন্ত অবলা নয়,সবলা! সংসার থেকে বিশ্ব সংসার,জগজ্জননী রূপে তিনি সামাল দেন।  দূর্বল হয়েও কমজোর নন /শক্তি র অপর...
গবেষণা -পল্লব চট্টোপাধ্যায়

গবেষণা -পল্লব চট্টোপাধ্যায়

কাশবন ৫
গবেষণা পল্লব চট্টোপাধ্যায়  না না,এটা আমার পি-এইচ-ডির থিসিস নয়। সম্প্রতি এ দেশে গো-জাতি নিয়ে নানাবিধ চর্চা হচ্ছে। গরু আমাদের মাতা এবং গোমাংস ভক্ষণ পাপ হলেও গোমূত্র ইত্যাদি পানে যে সর্বরোগহারিণী সুধা আছে বা গোদুগ্ধে সোনা বা তার কিছু লবণ বর্তমান তা প্রচার ও বিশ্বাস করা হচ্ছে। কোন বিতর্কের মাঝে যাব না,কিন্তু এই দেশে এক নতুন জাতির আবির্ভাব হয়েছে, যাদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে গেলে গো-জাতি সম্বন্ধে ন্যূনতম জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। অবশ্য জ্ঞান থাকলেই যে সর্বত্র তার প্রদর্শন করতেই হবে তার কোনও মানে নেই। বিশেষতঃ সামনের দশ জন সশস্ত্র যুবক যদি মোষকে কালো গরু বলে দাবী করে বা নীলগাইকে একপ্রকারের গাই,সেক্ষেত্রে তা মেনে নেওয়াটাই শ্রেয়ঃ-মাথা তো বাপু একটাই! তাই বলে গরু সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ জ্ঞানলাভও করতে নেই? ‘গো+এষণা’-সে-ই তো গবেষণা,মানে গরু খোঁজা। অবশ্য রিসার্চের সঙ্গে গরু-খোঁজার কী সম্পর্ক সেটা বলার মত জ্ঞান আমার...
নিশীথ চারিণী – মধুমিতা মিত্র

নিশীথ চারিণী – মধুমিতা মিত্র

কাশবন ৫
নিশীথ-চারিণী  (সত্য ঘটনা অবলম্বনে) মধুমিতা মিত্র দলমা পাহাড়ের কোলে,পাহাড় কেটে করা ইস্পাত নগরী ভারতবর্ষের মানচিত্রে শিল্প-শহর হিসেবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ইস্পাত নগরী হলে কি হবে?-এখানকার মানুষ গুলি কিন্তু লৌহ মানব নয়। লোহা তৈরীর সঙ্গে সঙ্গে প্রায় প্রতিটি ঘরেই রয়েছে সূক্ষ্ম শিল্প কলার সমাদর। প্রায় সকলেই নিজেরাও নানা রকমের শিল্প-কলার চর্চায় নিজেদের যুক্ত তো রাখেনই,ঘরে ঘরে ছেলেমেয়েরাও সঙ্গীত,নৃত্য,বাদ্য,অঙ্কন,আবৃত্তি,নাটক সমস্ত ধরনের চারুকলাই পড়াশোনার পাশাপাশি তীব্র আগ্ৰহে এবং ভালোবাসায় চালিয়ে যায়। এ হেন ইস্পাত নগরীতে বছর বছর নানা চারুশিল্পকলার বিবিধ প্রদর্শনী,অনুষ্ঠান,প্রতিযোগিতা লেগেই থাকে। এরকমই একটি প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত বিভাস।লৌহ নগরীর দক্ষিণ প্রান্তের উপ-নগরীর একটি বিখ্যাত ক্লাব ইমন কল্যাণ সঙ্ঘ আয়োজিত প্রতিযোগিতা ইস্পাত নগরীর যথেষ্ট মান্যগণ্য প্রতিযোগিতা।ইমন কল্যাণ স...
আগুনের পরশমণি – ব্রতী ঘোষ

আগুনের পরশমণি – ব্রতী ঘোষ

কাশবন ৫
আগুনের পরশমণি ব্রতী ঘোষ  আজও ভোরের আলো ফুটতেই দেবাশ্রিতার ঘুম  ভেঙ্গে যায় | জানলার  ফাঁক দিয়ে ভোরের আভাস পাওয়া যায়  অল্প অল্প | কিন্তু এই ভোরের আলো রাতের চেয়েও বেশি কালো বলে মনে হয় ওর। বুকের ভেতর ভারী পাথর চাপিয়ে দিলে যে ভার অনুভূত হয় সেই ভার অনুভব করে দেবাশ্রিতা | গত দুদিন আগে কলকাতায় নৃশংস ভাবে ঘটে যাওয়া অভয়ার  মৃত্যু দেশের প্রতিটি বিবেকবান নাগরিকের মত ওকেও অত্যন্ত ব্যথিত করেছে | ও ভাবতে পারছে না মানুষ এত নৃশংস ও হতে পারে  ? হাত বাড়িয়ে মোবাইলটা খোলে  | নেট অন করতেই সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলের পর্দায় ভেসে আসে কতগুলি কুৎসিত মেসেজ। আবার ? আবার পাঠিয়েছে সন্দীপ ? ইতর একটা। সঙ্গে সঙ্গে মেসেজটা ফরওয়ার্ড করে সুদীপ্তকে। তাকিয়ে দেখে পাশে সুদীপ্ত অকাতরে ঘুমোচ্ছে । এই নিয়ে পাঁচ দিন হলো | নিজের বৌদিকে কেউ এত জঘন্য ইঙ্গিত পূর্ণ মেসেজ পাঠাতে পারে ? অথচ সুদীপ্ত সব জেনেও কিচ্ছুটি বলবে না ? শ...
একবার জেগে ওঠ – মেঘদূত (শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা)

একবার জেগে ওঠ – মেঘদূত (শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা)

কাশবন ৫
"একবার জেগে ওঠ " মেঘদূত (শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা) একবার জেগে ওঠ অভয়া : দেখ, রাজপথ জুড়ে আজ নেমেছে লক্ষ লক্ষ নির্ভয়া! তোমার আর্তি পেরেছে জাগাতে; বিবেকবানদের বিবেককে টেনে নামাতে পথে - প্রতিবাদের ভাষা হয়ে। তোমার আর্তনাদ এনেছে প্রত্যাশিত প্রলয় চেতনাকে করেছে আলোড়িত। চেয়ে দেখ, তোমার প্রাণের আলোয় আলোকিত হয়ে কত আলোয় ভরেছে আজ দেশ থেকে বিদেশের রাজপথ। অকালে তোমার রূদ্ধ করে দেওয়া কণ্ঠস্বর - আজ লক্ষ কোটি বজ্রনিনাদ হয়ে মুখরিত করেছে পথ ঘাট,আকাশ,বাতাস। তুমি আজ আর একা নও সেদিনের মতো সেই বিষাক্ত অন্ধকারে - অসহায়,নিরুপায়! চেয়ে দেখ একবার আজ উদ্বেলিত সব সুমন তোমার পাশে, একদম কাছে। যারা তোমার আঁকা সুন্দর স্বপ্নগুলোকে অকালে ঝরিয়েছে : ওই পাপী পশুদের বিচার চাইছে সবাই, চাইছে চরম দণ্ড ওদের। আমরাও নিশ্চিত তোমার ত্যাগের আলোয় ভরবে আগামী লক্ষ কোটি প্রাণ - শান্তির ঘুম ঘুমিও তুমি...
উইশ স্পট – দেব মুখার্জি

উইশ স্পট – দেব মুখার্জি

কাশবন ৫
উইশ স্পট দেব মুখার্জি এখন আমি মারগাঁও থেকে ১০ কিমি দূরে,স‍্যালসেটের লৌটোলিম গ্ৰামে,সাউথ গোয়ায়,রাজুর বাড়িতে। একেবারে ক‍্যালেন্ডারের পাতায় দেখা ছবির মতো বাড়িটা,উঁচু নীচু রাস্তার ধারে,সারি সারি নারকোল গাছ,সবুজে সবুজ চারপাশটা,আমগাছ একটা মস্ত বড়,দুটো পেয়ারা গাছ। নতুন বৃষ্টির জল পেয়ে লতানো আগাছাগুলো পথের ধারের অন‍্যগাছগুলোকে ঢেকে ফেলেছে। দোতলার বারান্দায় বসে দেখছিলাম চারদিকটা,ফুল পাতা ভর্তি রঙীন টবগুলো ঝুলিয়ে রাখা রেলিংয়ের এদিকে ওদিকে। মাছটা রেঁধেছিল নারকোল দিয়ে,হয়ত কোঙ্কনী রান্না,বেশ  হয়েছিল খেতে,ঐ চাখনা। সেই সঙ্গে একটা গ্লাসে লেবুর রস নিংড়ে একটা বোতল থেকে ঢাললো জল রঙের একটা তরল, বোতলটা হাতে নিয়ে দেখি লেখা লেমব্রানকা,কাজু ফেনী,হেরিটেজ গোয়ান স্পিরিট। এর আগে তো কোনোদিন এখানে আসা হয়নি,মনে মনে ইচ্ছে ছিল খুব,সেই যৌবনের শুরুতেই। কিন্তু ঐ...সময়,সুযোগ,অর্থ,প্রয়োজনীয়তা,আবশ‍্যকতা... তখন কত শত প্রতিবন...
নাম গোত্রহীন ফুলগুলো – সুলগ্না চক্রবর্তী

নাম গোত্রহীন ফুলগুলো – সুলগ্না চক্রবর্তী

কাশবন ৫
নাম গোত্রহীন ফুলগুলো সুলগ্না চক্রবর্তী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস পরস্পর বিরোধিতায় ভরা। টাকা ও ক্ষমতার লোভে অনেকে বিপ্লবীদের পুলিশের হাতে তুলে দিতে সাহায্য করেছে। আবার কিছু কিছু ঘটনায় বোঝা যায় সাধারণ লোকেরা কেমন ফেরারী বিপ্লবীদের সাহায্য করেছে,স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লোকবল-অর্থবল দিয়েছে,মাইলের পর মাইল হেঁটে রিভলভার-চিঠি চালান করেছে এবং আমজনতার মধ্যে স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতন করেছে। চন্দননগর শহরের এই ব্যাপারটা আবার অন্য মাত্রা আছে। এখানে ফরাসীরাও কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আর একটা জিনিস না বললেই নয় সেটা হলো মহিলাদের এবং নাট্যকর্মীদের সাথে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সমান্তরালভাবে চলা। চলে গেছে তারা স্মৃতির অন্তরালে। অথচ জীবনের সবটুকু বাজি রেখে অপমান-রাগ-বিদ্বেষ ভুলে তারা বিপদের দিনে সঙ্গ দিয়েছে স্বাধীনতার সূর্যকে পূর্বকাশে তুলে ধরতে। দ...
মহাভারতের মাধবী – অজন্তা প্রবাহিতা

মহাভারতের মাধবী – অজন্তা প্রবাহিতা

কাশবন ৫
মহাভারতের মাধবী অজন্তা প্রবাহিতা মহাভারতের উদ্যোগপর্বে নারদমুনি দুর্যোধনকে অতিরিক্ত আগ্রহী বা জেদি হওয়া কেন ভালো নয় তা বোঝাতে গালবের কাহিনী বলেছিলেন । ধর্মরাজ একদিন বিশ্বামিত্র মুনির পরীক্ষা নেবার কথা ভেবে বশিষ্ঠ মুনির রূপ ধারণ করে বিশ্বামিত্র মুনির কুটিরে অতিথি হিসেবে হাজির হন। বশিষ্ঠ মুনির আগমনে বিশ্বামিত্র অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে তাঁকে বিশ্রাম করতে বলেন এবং তিনি ক্ষীর বানাবার আয়োজন করতে শুরু করেন ।   বশিষ্ঠ রূপী ধর্মরাজ কোনরকম অপেক্ষা না করে অন্য আশ্রমে গিয়ে ভোজন  সেরে নেন। এদিকে বিশ্বামিত্র মুনি ক্ষীরের পাত্র  বশিষ্ঠ মুনিকে পরিবেশন করলে,উনি বলেন যে ইতিমধ্যে উনি ভোজন করে নিয়েছেন, এখন ক্ষীরের প্রয়োজন নেই। এই বলে তিনি আশ্রম ছেড়ে চলে যান। অতিথিকে অন্ন দান করতে না পেরে ঋষি বিশ্বামিত্র সেই ক্ষীরের পাত্র মাথায় নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়েন এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন যতক্ষণ না এই অতিথি ফিরে এসে এই...
পৃথিবী গা, মা, গা গায়: মণি ফকির

পৃথিবী গা, মা, গা গায়: মণি ফকির

কাশবন ৫
পৃথিবী গা, মা, গা গায়: মণি ফকির এই উক্তি কার জানেন? কোন সঙ্গীতজ্ঞের নয়। জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোহানেস কেপলারের। "হারমোনিসেস মুন্ডি" গ্রন্থের তৃতীয় অধ্যায়ে এই বিষয়ে তিনি বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন। মধ্যযুগীয় দার্শনিক​রা যখন "সঙ্গীত গোলকের" এর রূপক ব্যবহার করছেন,তখন কেপলার গ্রহের গতিতে একটি সামঞ্জস্য আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি দেখতে পান যে একটি গ্রহের কক্ষপথে সর্বাধিক এবং সর্বনিম্ন কৌণিক গতির মধ্যে পার্থক্য একটি সুরেলা অনুপাতের সমান। সহজ করে বলি ব্যাপারটা। সূর্য থেকে পরিমাপ করা পৃথিবীর সর্বাধিক কৌণিক গতি একটি সেমিটোন বা হাফ নোট(১৬:১৫ অনুপাত) দ্বারা পরিবর্তিত হয়,অর্থাৎ শুদ্ধ গান্ধার থেকে শুদ্ধ মধ্যম অবধি। কেপলার পৃথিবীর ছোট হারমোনিক পরিসরের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এক মহাজাগতিক গায়ক দল তৈরি করেন। আমরা জানি ভোকাল রেঞ্জ এর চারটি মূল ভাগ-সোপরানো,অল্টো,টেনর,বাস-পাশ্চাত্য মতে SATB. স্বর...
নতুন ভোরের সন্ধানে – জলি চক্রবর্তী শীল

নতুন ভোরের সন্ধানে – জলি চক্রবর্তী শীল

কাশবন ৫
নতুন ভোরের সন্ধানে জলি চক্রবর্তী শীল শরীরটা আজ একদমই ভালো লাগছে না সিঁথির | বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছে করছে না | সমস্ত শরীর কেমন যেন নেতিয়ে আছে | হাতে-পায়ে কোথাও যেন কোন শক্তি নেই | এইসব দিনগুলোতে শরীর বড্ড খারাপ লাগে | কিছুই যেন করতে ইচ্ছে করে না | তবু নিজেকে হাঁচড়-পাঁচড় করে টেনে তোলে সে | মেয়েটা ম্যামের কাছে বসে পড়ছে পাশের ঘরে | ম্যামকে চা দেওয়াও হয়নি | ম্যাম কি ভাবছে কে জানে! রান্নাঘরে গিয়ে চা বসায় সে | নিজের জন্যও এক কাপ চা করে সে | তারপর কাপে ঢেলে বিস্কুট সাজিয়ে একটা ছোট ট্রেতে করে দিতে আসে মেয়ের ম্যামকে | 'বৌদির কি শরীরটা খারাপ? মুখ চোখ কেমন যেন বসে গেছে' | মেয়ের ম্যাম জানতে চায় | 'হ্যাঁ,মানে ঐ আর কি শরীরটা ঠিক জুতের নেই |' মৃদু হেসে উত্তর দেয় সিঁথি | 'তুমি চা 'টা খেয়ে নাও | আমি যাই' | বলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে সে | নিজের কাপের চাটা নিয়ে গিয়ে ঘরে খাটের ওপর বসে | কাজের তো শেষ নেই | মেয়ে...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!