Shadow

Author: Kulayefera

সময় – অতনু বর্মন

সময় – অতনু বর্মন

বিহানবেলায় ৫
সময়   অতনু বর্মন সময় তোকে খাতির করি খুব কখনও দিস অন্ধকারে ডুব কখনও তুই দৌড়ে যাস ফুরিয়ে যাস দ্রুত কখনও তুই লেট লতিফ খুঁজে বেড়াস ছুতো সময় তুই জলদি ফিরে আয় ভাসিয়ে ফের আবার যাস ভেসে সময় তোর চতুর্দিকে ভয় সময় তুই সকাল হয়ে থাক সময় তুই আয় রে ভালবেসে। ************************* অতনু বর্মন পরিচিতি: জন্ম ১৯৬৪ বীরভূমের রামপুরহাটে। কবিতা, ছড়া, উপন্যাস, নাটক, রম্যরচনা লিখে থাকেন। অভিনেতা হিসেবে সিনেমা,দূরদর্শন,ওয়েব সিরিজ ও থিয়েটারের পরিচিত মুখ। কৌতুক শিল্পী হিসেবেও পরিচিত অতনু বর্মন বীরভূমের আঞ্চলিক উপভাষায় কবিতা রচনা ও আবৃত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে চলেছেন।...
সাগুন সুহাগি – শাশ্বতী হোসেন

সাগুন সুহাগি – শাশ্বতী হোসেন

বিহানবেলায় ৫
সাগুন সুহাগি   শাশ্বতী হোসেন সাগুন ; পরব - টরব সিরায়ঁ গেল্য ঘরকে ইবার চল তর মনে যে কী চইলছে  খুঁজতে লারি তল। লদীর বানে কাঁথ ধ্বস্যেছে বুঢ়ি মা'ট এগলা রাঁধে বাড়ে অ্যা সুহাগি, রাত-বিরেতে মন'ট খাঁচহি খচর-মচর করে। সুহাগি ; নাই যাব্য ত নাই যাব্য ত নাই যাব্য একটা কথা গঁগায় যাছে -- ঢনঢনাছে কানের আগে উখনে যায়িঁ মইরতে বাতাস খাব্য ? সাগুন ; হেঁ সুহাগি, হল্য ট কি তর ? অমন রাগুস কেনে ? সুহাগি ; রাগছি কী আর সাধে ? জীবন ঢ ঢ হয়িঁ গেল্য আহা !  সংসারের কী ছিরি ! ভাত জুটে নাই দিনে। সাগুন  ; কি বললু ?  কি বললু তুই ? ভাত জুটে নাই তর।? বোকা-সকা পায়িঁ গেছুস নকি? বললু, হেঁ গো যাব্য বাপেরঘর পেছপাড়িয়া শাড়ি দিলম কিনে। সুহাগি  ; মুখে আগুন অমন ভাতের ভাঙা আগুড়, ছেঁদা ঘরের চাল বিহা হয়েই দেখে আসছি ভাতারঘরের হা...
স্নায়ুযুদ্ধ – দীপান্বিতা দত্ত

স্নায়ুযুদ্ধ – দীপান্বিতা দত্ত

বিহানবেলায় ৫
স্নায়ুযুদ্ধ  দীপান্বিতা দত্ত  আলোর পৃথিবী ডুবে যাচ্ছে অন্ধকারে জোৎস্না রাতে নিজেকে বড় একা লাগে সময়ের দিকে চেয়ে শব্দ শুনি শব্দ শুনি , ভয়াবহ পতনের জানালা কপাট ভাঙনের শব্দে নিঃশ্বাস নিতে বড় কষ্ট হয় এক চিলতে সুখ খুঁজি আপন মনে ঘন বর্ষা নেমে আসে চোখের কোণে । কথার মাঝে কথা থাকে অন্তরালে স্বপ্নগুলো থমকে থাকে অনাদরে বাঁধনগুলো আলগা হয় একটা ঝড়ে । দুর্বল হলে জীবন থেমে যায় ধর যদি , হঠাৎ মনের বদল হয় মুখ বুঝে আর নয় অশ্রুক্ষয় । স্বার্থের দুনিয়ায় শিখে নেবো অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার কৌশল  বাঁচার জন্য ঝেড়ে ফেলে সব ভয় মন খুলে করি কুশল বিনিময় । ***************************** দীপান্বিতা দত্ত-জন্ম আসামে,বিবাহসূত্রে বর্তমানে কলকাতায় থাকেন ৷ সংসারের সব রকম গুরু দায়িত্ব সামলেও কবিতার মধ্যেই তিনি নিজের মনের মুক্তি খুঁজে পান ৷ আর এই ভালোবাসা ছোট বেলা থেকেই ৷ গানেও তাঁর অসীম আগ্...
ক্ষমা করো আজিকের দিনে – বিনয় দেবনাথ

ক্ষমা করো আজিকের দিনে – বিনয় দেবনাথ

বিহানবেলায় ৫
ক্ষমা করো আজিকের দিনে বিনয় দেবনাথ এলো নতুন প্রভাতে মৃদু হেসে সূর্যের আলো যেন আজিকের দিনে  ভুলে যাবো সব পুরাতন দিন শত্রু  ভেবো না মোরে হে বন্ধুবর এই অয়নে   কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকি যদি রেখো না মনে কিছু,  ভুলে যেও  জনে  ক্ষমা করো আজিকের দিনে।    অতীতের দিনে যা করেছি সব যেন ভুলে যাই এই নতুন বর্ষের  সনে  এসো সব বন্ধুগণ নতুন আলোর স্বপ্ন, আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠি মনে জীবন সংসার থাকিবে সবি যদি ভুলে যাই আবার মায়া মমতার ক্ষনে   ক্ষমা করো আজিকের দিনে।  আসুখ ঝড়-তুফান আসুক যতই  অশুভ শক্তি,করিবো-না ভয় রুখে  দাঁড়াবো  মানুষ আর্তনাদ করিবো-না  সহ্য  দ্রোহের শপথ নিয়ে সবাই পাশে থাকবো  নতুন দিনের নতুন উদয়ে উড়ন্ত পাখির ন্যায় আনন্দে উপভোগ করিবো    ক্ষমা করো আজিকের দিনে।  নতুন দিনে নতুন স্বপ্ন পূরণ করে সার্থক করিবো এ যেন মোদের আশা  বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন...
আমার দুর্গা – পারুল চক্রবর্তী

আমার দুর্গা – পারুল চক্রবর্তী

বিহানবেলায় ৫
আমার দুর্গা  পারুল চক্রবর্তী আমার দুর্গা ছোট্ট মেয়ে কবেই হল বড়,  দুগ্গি বলে ডাকত বাপে ভয়েই জড়সড় | এখন দুর্গা অনেক বড়,  ভয় করেনা কারেও বিপদ এলে লড়তে জানে রাখতে জানে মান এখন ধরে দুর্গারূপী দশভূজার স্থান।  দুর্গা  আমার বলছে ডেকে আয় না ওরে পিশাচ রূপী অসুরের ই দল।  তোদের দেখে করবো না ভয় একটুও যে পেয়েছি আমি অটুট মনোবল | আয় না ওরে নেশার ঘোরে               ধর না আমার হাত হাত ঘুরিয়ে মুচড়ে দেব                    করবো কুপকাত বলতে আমার লাগছে ভালো এমন দুর্গা থাকলে ঘরে   সব ঘরেতেই  জ্বলবে আলো                   জাগবে মনোবল।  আয় রে জয়া, আয়ের উমা     কন্যা রূপী দুর্গা সমা      দশভূজা র দল।   অস্ত্র হাতে জাগ রে তোরা অসুররূপী মানুষ গুলোর   কর রে  নিধন।  অকালে তে  রামের মতো কর রে  তোরা মায়ের বোধন। ...
আজো হতে পারি – সহেলী মুখার্জি 

আজো হতে পারি – সহেলী মুখার্জি 

বিহানবেলায় ৫
আজো হতে পারি   সহেলী মুখার্জি    আজো হতে পারি শিমুল পলাশ  ছন্দে মোড়া কাব্যে তোমার।  আগুন রঙা হৃদয় বাঁকে, ফাগুন ভরা সুরের বাহার।  হতে পারি ঝরা পাতা ধূলিপথ- গহন মনের মাঝখানে, বাসন্তী ফুলে জড়িয়ে আঁচল  গভীর প্রণয় আলিঙ্গনে।  হতে পারি ভোর ,মিঠি কুহু তান  স্বপ্নে বিভোর বসন্ত মন, নির্জনে মৃদু নদী কলতান- স্তব্ধ আকাশ,ঘোর আলাপন। আজো হতে পারি বাউল ফকির  গান বেঁধে ফিরি দ্বারে দ্বারে। কৃষ্ণচূড়ার আবীর হয়ে,  মহুয়া নেশার অভিসারে। *************************** সহেলী মুখার্জিঃ স্কুল শিক্ষিকা,নিবাস-ব্যান্ডেল/হুগলি,শখ-লেখা এবং গান করা  ...
মুহূর্তে বাঁচে প্রেম, মুহূর্তরাই বাঁচে – আশিস দাস

মুহূর্তে বাঁচে প্রেম, মুহূর্তরাই বাঁচে – আশিস দাস

বিহানবেলায় ৫
মুহূর্তে বাঁচে প্রেম, মুহূর্তরাই বাঁচে আশিস দাস                        "প্রতীক্ষা তাই প্রহরবিহীন  আজীবন ও সর্বজনীন,       সরোবর তো সবার বুকেই   পদ্ম কেবল পর্দানশীন"...   কলেজ ফাংশানে পূর্ণেন্দু পত্রীর এই কবিতা আবৃত্তি করে যেই স্টেজ থেকে নেমে এলাম তখন নুপূর বলেছিল,"ওরে অনি,তোকে আমার ওখানেই জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছিল রে...মাইকে তোর কি রোম্যান্টিক ভয়েস..ওহ !!" ll সেই নুপূরকে একদিন বলেছিলাম "সিনেমা দেখতে যাবি ?" ও কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে,আমাকে মোহিনী মায়ায় আচ্ছন্ন করে বলেছিল,"জানিস অনি,তোর সাথে আমি জাহান্নামে যেতেও রাজি" ll সেদিন আমরা সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম ঠিকই,কিন্তু ওর কথা মতো জাহান্নামে যাওয়া আমাদের হয়নি ll  অনেক কিছুই স্মৃতি থেকে মুছে গেছে,নুপূরও আজ নেই,কিন্তু ওর সেদিনের সেই কথাটা একটুও ঝাপসা হয়নি,অমলিন থেকে গেছে কয়েকটা মুহূর্ত: সেইসব মুহূর্তের মধ্যেই বেঁচে আছে প্রেম...
পুতুলখেলা – দেবাশিস দণ্ড

পুতুলখেলা – দেবাশিস দণ্ড

বিহানবেলায় ৫
পুতুলখেলা দেবাশিস দণ্ড আমার তখন পুতুলখেলা  চিলেকোঠার ছাতে কত যে কাজ একা হাতে পারি না সামলাতে। কমলারানী হলদেবেণী চোখ নাচানি মাথা দুলানি  যত রকম বকবকানি  সবই ওদের সাথে।  আমার তখন পুতুলখেলা  চিলেকোঠার ছাতে।  দিদা তখন ঠাকুরঘরে  গোপাল ঠাকুর নিয়ে। একদিন সব দেখেছিলাম পা টিপটিপ গিয়ে। সোনাগোপাল নাড়ুগোপাল  দিদা কেমন উথাল পাথাল  ফুলের সাজি নীল সাদা লাল  সাজায় সে ফুল দিয়ে।  দিদা তখন ঠাকুরঘরে  গোপাল ঠাকুর নিয়ে। সহজ কি আর পুতুলখেলা কাজের পরে কাজ একেকটা দিন হাঁপিয়ে যেতাম পড়তো মাথায় বাজ। মেয়ে দুটোকে তেল মাখিয়ে চান করিয়ে গা মুছিয়ে  চুল আঁচড়ে কাজল দিয়ে একটুখানি সাজ। সহজ কি আর পুতুলখেলা কাজের পরে কাজ। ঠিক তখুনি ঠাকুরঘরে একই চানের ছল দিদা মাথায় দিচ্ছে ঢেলে ঘটির গঙ্গাজল। চান করিয়ে নাড়ুগোপাল মোছায় মাথা মোছায় কপাল কত যে মিল সকাল সকাল পাই না খুঁজে তল। ...
সম্পাদকীয় – “কুলায়ফেরার কাশবন ৫”

সম্পাদকীয় – “কুলায়ফেরার কাশবন ৫”

কাশবন ৫
সম্পাদকীয় ' কুলায়ফেরার কাশবন ৫ '   “আকাশ জুড়ে শুনিনু ওই বাজে তোমারি নাম সকল তারার মাঝে। ..আঁধারে মোর তোমার আলোয় জয় গভীর হয়ে থাক জীবনের কাজে।।..” দীর্ঘ অপেক্ষার পর বছর ঘুরে  আবার মা আসছেন। বর্ষা শেষে আকাশে পেঁজা তুলোর মতন মেঘ। মাঝে মধ্যে সোনালী উঁকিঝুঁকি। তপ্ত দ্বিপ্রহরের পর সন্ধ্যায় একটু যেন হিমের ছোঁওয়া। কিন্ত সব থেকেও কি যেন নেই। শরৎ প্রভাতেও কেন মনে হচ্ছে এ কোন সকাল! রাতের চেয়ে অন্ধকার? মাঝে মাঝে মনে হয়,এত অন্ধকার কেন? কিন্ত এর পরও হঠাৎ হঠাৎ আবার আলোর ঝলকানি মনে সাহস আনছে! এ যেন অরোরা বোরিয়ালিস! সত্যি বলতে কি,নারীর চোখের জলের মতন অমূল্য আর বিশ্বব্রহ্মান্ডে কিছু নেই। নারী আমাদের জন্মদাত্রী মাতা। নারী আমাদের সহেদরা,আমাদের অর্ধেক আকাশ। এই আকাশ কেন মেঘাচ্ছন্ন হবে? নারী কিন্ত অবলা নয়,সবলা! সংসার থেকে বিশ্ব সংসার,জগজ্জননী রূপে তিনি সামাল দেন।  দূর্বল হয়েও কমজোর নন /শক্তি র অপর...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!