Shadow

Author: Kulayefera

অবচেতন – প্রতিভা পাল

অবচেতন – প্রতিভা পাল

“পার্বণী” ১৪২৯
অবচেতন প্রতিভা পাল চেতনার অভ্যন্তরে এক অনন্ত সমুদ্র শায়িত; ভাবনার বিভিন্নতায় পাড়ভাঙা ঢেউয়ের মতো, বিশ্বাস তার অস্তিত্ব সঞ্চয় করে সেখানে, আনমনে ! কল্পনার কাল্পনিক রেখা বরাবর যুক্তিহীন জড়তার জিজীবিষা ! অজান্তে অজানার পরিধি মাপে ভীষণ চেনা ভিতর,  ব্যবহারে ! রহস্যময় রাংতায় জড়ানো জানা, না-জানা, অজানার এপার-ওপার ! জীবনও আশ্চর্য হয় কখনও কখনও অবচেতনার অভিনবত্বে…. ************************************* প্রতিভা পাল সেন পরিচিতিঃ পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি নিবাসী। কম্পিউটার-বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। পেশায় শিক্ষক। সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা থেকে ছোট থেকে লেখালিখির সঙ্গে যুক্ত। মূলতঃ কবিতা, গদ্য ও ছোটগল্পে লেখার প্রয়াস সীমাবদ্ধ। এছাড়া সংগীত চর্চা, ছবি আঁকা, রান্না, বিভিন্ন হাতের কাজ ও ভ্রমণ -ভালোলাগা অবসর। লেখা কবিতা প্রকাশিত হয়েছে প্রবাহ তিস্তা তোর্ষার শারদীয়া সংকলন,  লাবণ্য, আকর, আজকাল, ম...
ফেরা – মধুমিতা মিত্র

ফেরা – মধুমিতা মিত্র

“পার্বণী” ১৪২৯
ফেরা মধুমিতা মিত্র মহানগরীর প্রভাব যেখানে আলতোভাবে ফিকে হতে শুরু করেছে গ্ৰাম মফ:স্বলের গন্ধমাখা সেই প্রান্তরেখায় ব্রিটিশ আমলের তৈরী এক রেল কলোনী-এই গল্পের স্হান। স্হানের পরেই আসে কাল আর পাত্র,কাল কিন্তু আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগের এক স্বর্ণ যুগ যখন জীবন ছিল সরলতায় পরিপূর্ণ,প্রযুক্তির মাথা না গলানো অনাড়ম্বর জীবনে সারল্যই প্রধান অনুষঙ্গ ছিল;এ কাহিনী সেই সময়ের‌ই,আর পাত্র?-ঐ রেল কলোনীর এক গুচ্ছ বালক বালিকা যারা ছেলে মেয়ের পরিচয় তুচ্ছ করে শিশু হিসেবেই গোটা কলোনীর যত্র তত্র প্রায় সারাটি দিনমান তাদের অবসর অনুযায়ী বিচরণ করে বেড়াতো। এ হেন রেল কলোনীর বারো নম্বর ব্লকে সেদিন বড়ো হৈ চৈ। অকৃতদার জেঠু তাঁর যাবতীয় প্রতিবেশী ভাইপো,ভাইঝিদের নিয়ে চলেছেন বেশ কাছাকাছিই আলিপুর চিড়িয়াখানায় বেড়াতে। বছরের এই শেষ বেলায় সব কুচোদের পরীক্ষা তখন শেষ। কলোনীর অনেক বিল্ডিং এর‌ই ছাদে উঠে,সব কটি মাঠে ...
এসো ও আনন্দ – দীপন মিত্র

এসো ও আনন্দ – দীপন মিত্র

“পার্বণী” ১৪২৯
এসো ও আনন্দ দীপন মিত্র এসো ও আনন্দ,আজ তোমার যেমন খুশি বেশে গাছে গাছে ক্রিসমাস,লাল নীল টুনি থোক-থোক টেবিলে টেবিলে মেঘ,বিদ্যুৎচমক যেন কেশে আলোর চিৎকারে খোলে সরু দরজা,পেন্টিঙের স্ট্রোক তোমার একশো নাম লিখি আমি মিহি ন্যাপকিনে ভাঁজ খুলতেই সাদা কপোতেরা ডানা মেলে ধরে লোত্রেক বেরিয়ে আসে নীচে থেকে,স্বর্ণবর্ণ তৃণে তারায় তারায় জোড়া স্বর্ণতারে র‍্যাঁবো নৃত্য করে হীরের অসংখ্য টুকরো ছড়িয়েছি অতীতের ঘরে ক্ষয় নেই, মৃত্যু নেই,আসি দস্যুদের কলেবরে শিমুলপুর থেকে সোজা চলে গেছি বরিশাল মুক্তিবোধ হেঁটে যান চম্বলের খোওয়াইয়ের ঢাল অনেক অতৃপ্ত বুক মধ্যরাতে ঘোরে কলকাতা খিদিরপুর থেকে ছুটে যায় টালার মাথায়।। ***********************************  ...

কিচির মিচির

“পার্বণী” ১৪২৯
কিচির মিচির - কচি কাঁচাদের নিয়ে  আহেরী মন্ডলঃ বিশাখাপত্তনম নিবাসী আহেরী, টিম্পনি স্টীল সিটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। পড়াশোনার ফাঁকে ছবি আঁকতে, পাশ্চাত্য গান গাইতে এবং শুনতে খুব ভালোবাসে।  আহেরীর বিজ্ঞান বিষয়টি খুবই পছন্দের। বিজ্ঞান বিষয়ক পরীক্ষা নীরিক্ষা গুলো করে সময় সুযোগ মতো। পড়াশোনা ছাড়াও আহেরী teakwondo মার্সাল আর্ট এবং বাংলা গান শেখে। *********************************** তানিশা গুহ: কাঁকিনাড়া নিবাসী তানিশা গুহ রথ তলা রাজলক্ষ্মী বালিকা বিদ্যামন্দিরের নবম শ্রেণীর ছাত্রী আঁকতে ভালোবাসে। ********************************* নীলাব্জ ঘোষ,সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। ছবি আঁকতে ও হাতের কাজ করতে ভালোবাসে। নিবাস ব্যারাকপুর। ******************************* দুর্গাপুর এর নৈঋতি সরকার,মডেল স্কুলে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী। *******************...
আমাদের আন্তরিক মন – সুবীর গুহ

আমাদের আন্তরিক মন – সুবীর গুহ

“পার্বণী” ১৪২৯
আমাদের আন্তরিক মন সুবীর গুহ কোথাও যাব না আমি যাব না কোথাও -- সব মন ভিজে গেছে জলভরা মেঘে-- কোন কিছু শুকনো নেই আর কোনোখানে, রূপ, রস, গন্ধ আর মানবিক বোধ সবটুকু রাখা আছে তোমার মুঠিতে। তোমার চোখের কোণে অশ্রু বিন্দু মুক্তো হলে-- হাত ধরে হেঁটে যাব সাগর পারের সেই আদিগন্ত নীলিমার নীলে ছুঁয়ে যাব প্রতিটি আঙুলে স্বপ্নে দেখা নন্দনের বন আমাদের বিস্তৃত হৃদয় আর আন্তরিক মন। ********************************* সুবীর গুহ পরিচিতি জন্ম ১৯৫২ সালে৷ মামাবাড়ির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বড়ো হওয়া সুবীর বাবু কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক৷ ছোট থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের ছাপ তাঁকে ক্রমশঃ আকৃষ্ট করে গানবাজনা,খেলাধূলা,সাহিত্য সবকিছুতেই৷ পরিণত বয়সে তার প্রকাশ ঘটে বিভিন্ন লিটল্ ম্যাগাজিনে যেমন-কর্ণ,পথে-প্রান্তরে,চর্যাপদ,আঞ্চলিক দর্পণ ও আরো নানা পত্রপত্রিকায় যা সমাদৃত হয়৷ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ '...
তিলোত্তমাকে আমি – পারমিতা গাঙ্গুলী

তিলোত্তমাকে আমি – পারমিতা গাঙ্গুলী

“পার্বণী” ১৪২৯
তিলোত্তমাকে আমি ...  পারমিতা গাঙ্গুলী শীতের পড়ন্ত রোদ গায়ে মেখে দাঁড়িয়ে রয়েছে একলা ট্রাম রেড রোডের ধার ঘেঁষে পুরনো ফেলে দেওয়া আসবাবের মত। একদিন শরীর জোড়া লাস্য ছন্দ আর গর্ব তার চাকায় জড়িয়ে নিয়েছিল অন্যমনা কিছু কবিতা। সেইসব ছেঁড়া পাতার বুক থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে আজকের কল্লোলিনী তিলোত্তমা....কলকাতা। যৌবন সাজিয়েছে চকচকে শপিং মল ঝকঝকে স্কাইস্ক্র্যাপার আর দুরন্ত মেট্রোরেলে ট্রামের ছায়া এই অবেলায় আজ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। আমাদেরও চোখজুড়ে সোনালী অতীত রঙ বদলেছে শহরের, বদলেছে চেনা রাস্তার নাম বদলেছে ভাষা বদলেছে সংলাপ বদলেছে মনন আমরাও বদলাইনি কি ? সিগন্যালে থেমেছে গাড়ি, জানালায় লাল গোলাপ " নাও না একটা"....অনুনয়.... তাও আমি নিরুত্তাপ। কাঁচের এপারে ওপারে মিল সে কি সম্ভব আর! আপাতস্বচ্ছ শহরের ক্রমশ ঘোলাটে হতে থাকা অন্তর সে  অস্বীকার করেছে পুরনো সব ভার। তবু ভালবাসি...
ইতিবৃত্ত, “কাজলাদিদি” – কঙ্কণা সেন

ইতিবৃত্ত, “কাজলাদিদি” – কঙ্কণা সেন

“পার্বণী” ১৪২৯
ইতিবৃত্ত  কঙ্কণা সেন  চায়ের কাপে তুফান ওঠে ভেক দরদে নেতা কাঁদে জ্বলছে আগুন,পুড়ছে মানুষ কার তাতে কী? নেই কারো হুঁশ! হাত-পা সেঁকো খোস মেজাজে ক্ষমতা তোমার পেশির মাঝে মানুষ কাঁদে সাঁঝ সকালে নারীর লজ্জা ঢাকো আঁচলে শাসক শাসায় রক্ত চোখে অস্ত্র শানায় দিন-মানে। আমরা তো সব পরান্নভোজী দুটি ঠোঁটে আঙুল চেপে ভাগ্যটার দোহাই মারি! পুতুলনাচের ইতিকথায় আলাদা করে নেইকো কথা সুতোয় টান দিলেই তবে হাত পা নেড়ে সঙ যে খেলি! কতকাল আর চলবে এমন? এবার বুঝি ধরল ভাঙন পুতুল নাচের কারিগর সুতো ধরে দেবে টান সেই টানেতে রাজামশাই হবেই যে খানখান! তখন বুঝি গাইব সুখে আমাদেরই কবির গান রাজা প্রজা সকলি সমান রাজা দেবেন সম মান।। ***************************** "কাজলাদিদি" কঙ্কণা সেন কাজলাদিদি কোথায় গেল কেউ জানে না ভাই বোনটি তার খুঁজেই চলে উন্মনা হল তাই। লেবুর গন্ধে আজও তার ঘুম আসে না চোখে ...
পথ – রূপকথা মিত্র

পথ – রূপকথা মিত্র

“পার্বণী” ১৪২৯
পথ রূপকথা মিত্র যে পথ পড়ে রইলো ফাঁকা, আঁকলো না কেউ ছাপ সে পথ প্রতি রাতের শেষে রাখছে নিজের মাপ! ভোরের মুখে সেই পথটাই মাখছে শিশির সুখ চোখের আড়াল সবটা সময় যেই পথটার মুখ! পাহাড় বাঁকের আবছায়া কোণ কুয়াশাদের উঁকি সেই পথটার বুকেই মেঘের নরম আঁকিবুঁকি... সবকিছু ঠিক, সেই পথটাই একমাত্র ভুল ঠিকের ভিড়ে হারায়নি যার সদ্য ফোটা ফুল! সেই পথটা লুকিয়ে একা পাইন বনের মাঝে পাহাড় যত গল্প লেখে তার পাতাতেই সাজে! অন্য যত পথের ভিড়ে যে নেই কারুর মনে, সেই পথটা অভিষিক্ত মেঘের সিংহাসনে... সে পথ পড়ে রইলো খালি ফেলল না কেউ ছাপ জানলো না কেউ, সেই পথটা নিজেই নিজের মাপ! ******************************** রূপকথা মিত্র পরিচিতি : আদি নিবাস বর্ধমান,বেড়ে ওঠা চন্দননগরে। বর্তমানে শান্তিনিকেতন নিবাসী। কলা বিভাগে উচ্চমাধ্যমিকের পর বিশ্বভারতীতে "প্রাচীন ভারতের ইতিহাস এবং প্রত্নতত্ত্ব" নিয়ে স্নাতক স্তরের পর,এ...
শেঠজীর পুঁটলি – অঙ্কন দন্ড

শেঠজীর পুঁটলি – অঙ্কন দন্ড

“পার্বণী” ১৪২৯
শেঠজীর পুঁটলি অঙ্কন দন্ড "কিছু টাকা দাও বাবু",এসে বলে ভিক্ষুক, শেঠজী মুখ মুছে বলে "থোড়া যাও রুক।" এই বলে এঁটো হাত পুঁটলিতে ঢোকালো কোণাকুণি খুঁজে খুব বেশ করে ঝাঁকালো। পুঁটলির ভেতরে ঠাকুরের পাতা ফুল, পাওয়া গেল জমানো উঠে যাওয়া পাকা চুল। খুঁজে খুঁজে শেঠজীর খানা হলো ডাইজেস্ট, ভিখারী আশায় চেয়ে হয়ে পড়ে আনরেস্ট। খুঁজে চলে খুঁজে চলে টাকা তবু পায় না, "রাখ তোর পয়সা, ও আমার চাই না!" ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে চলে গেলো ভিখারী, তারপরে পাওয়া গেলো নোট এক টাকারই। অঙ্কন দণ্ড, জন্ম ২০০৩ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী। বাসস্থান পুরুলিয়া জেলার আদ্রায়। অঙ্কনের লেখালেখির পথ চলা কবিতা দিয়ে। আনন্দবাজার পত্রিকার জেলার পাতা " ছোটদের পাতা " শীর্ষক - এ তার স্বরচিত কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হত। স্থানীয় পত্রিকা " ঊষশী" তেও স্থান পেয়েছে তার কবিতা। এছাড়া নানান গল্প ও প্রবন্ধ লিখে স্থানীয় স্তরে অনেক শুভেচ্ছালাভ ...
প্রমাণ – বিদ্যুৎ পাল

প্রমাণ – বিদ্যুৎ পাল

“পার্বণী” ১৪২৯
প্রমাণ  বিদ্যুৎ পাল শহরের মাঝখান দিয়ে রেললাইন গেছে। আসলে মূল শহরের পাশ দিয়ে রেললাইন তৈরি হওয়ার পর তার ওপারেও প্রায় ততখানিই ছড়িয়ে পড়েছে শহর। ওপারে ছড়িয়ে পড়ার কারণ,এপারে তো রেললাইনের উল্টোদিকে নদী! পিঠ ঠেকে আছে! বাড়বে কী করে? যাহোক ওপারটাই আমাদের এপার। আর মূল শহরটা ওপার। অফিস ধরতে,কলেজ বা বড় স্কুলে পৌঁছোতে ওপারে যেতে হয়। এমনকি এপারে যাদের ব্যবসাপত্তর তাদেরও মাল যোগাড় করতে ওপারে যেতে হয়। আর সবার একে অন্যের সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যখন ছুটির দিনে সিনেমা,থিয়েটার দেখতে বা পার্কে,ময়দানে ঘুরতে,দামী বাজারে কেনাকাটা করতে ওপারে যেতে হয়। তারপরও আছে। মাঝেমধ্যে সার্কাস আসে,সেও ওপারে। মেলা বসে,ওপারে। এমনকি দুর্গাপুজোর মরশুমে বড়,নামকরা মন্ডপগুলোও সব ওপারে। গঙ্গার ওপারে যেতেও আগে শহরের ওপারে যেতে হয়। ট্রেন ধরতে অবশ্য, খুব বেশি জিনিসপত্তর না থাকলে ওপারে যেতে হয় না। নৌকো বেয়েই স্টীমারঘাটায় পৌঁছোনোর ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!