Shadow

Author: Kulayefera

সন্ধ্যার মিলনমেলা : প্রণব  আচার্য্য

সন্ধ্যার মিলনমেলা : প্রণব আচার্য্য

কবিতা
সন্ধ্যার মিলনমেলা প্রণব আচার্য্য সন্ধ্যা যখন নামে, মন এই আশাতেই থাকে। যে তারারা লুকিয়েছিলো দিনের আলোতে, মিটিমিটি হয়ে জ্বলবে এবার নীল আকাশেতে। জ্বলবে প্রদীপ তুলসী তলায় শঙ্খ ধ্বনি দিয়ে, আনন্দে মোরা মেতে উঠবো সবাইকে নিয়ে। সন্ধ্যার তমসা ছায় যখন চারিদিকে, গৃহগুলি হয় রোশনাই কৃত্রিম আলোকে। খুশির জোয়ার বয় প্রতি ঘরে ঘরে, ফিরবে ঘরে তারা, যারা গিয়েছে বাইরে। সন্তানেরা চেয়ে থাকে বাবার প্রাতিক্ষায়, বধূরা থাকে চেয়ে তাদের স্বামীর অপেক্ষায়। এমন শ্রেষ্ঠ সময় আছে নাকি আর ? পরিবারকে মিলিত করে একই ছাদের তলায়, ফিরিয়ে আনে ঘরে ঘরে খুশির জোয়ার, সন্ধ্যাই হয়ে ওঠে শুভক্ষণ সবার মিলনমেলার। ******************************************** প্রণব আচার্য্য পরিচিতি : বি. কম (অনার্স), কাব্য ও সাহিত্য চর্চায় অনুরাগী। সম্প্রতি কিছুদিন আগে থেকে কলম কে সাথী করে পথ চলা। ...
ইউরোপ ভ্রমণ (প্রথম পর্ব) –  বিজিত কুমার রায়

ইউরোপ ভ্রমণ (প্রথম পর্ব) – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
ইউরোপ ভ্রমণ (প্রথম পর্ব) বিজিত কুমার রায় যাত্রা শুরু, বিমান যাত্রা ও লন্ডন ভ্রমণ (প্রথম ও দ্বিতীয় দিন) আর সব বাঙালিদের মতো আমাদেরও পায়ের তলায় সর্ষে। আর আমার কর্মসূত্রে বহু প্রদেশেই যেতে হয়েছে আর অর্ধাঙ্গিনীকেও প্রায় সব জায়গাতেই নিয়ে গিয়েছি। তবে তুলনামূলক ভাবে উঁচু পদে থাকার জন্য আর বিশেষ কর্মে নিযুক্ত থাকাতে লম্বা ছুটি পাওয়া বেশ মুশকিল ছিল। তবুও সাহসে ভর করে বড় সাহেবের কাছে দিন কুড়ির ছুটি চেয়ে পাওয়াতে হাতে স্বর্গ পেলাম। আর সাহসে ভর করে বেরিয়ে পড়লাম ১৬ দিনের ইউরোপ ভ্রমণে ২০১০ সালে এপ্রিল মাসে। যদিও এর জন্য ট্রাভেল গ্রূপ বাছাই ইত্যাদি আগেই শুরু হয়েছিল। আর খরচ আমাদের মাথাপিছু ১.২৫ লাখ একটু চাপের ছিল বিশেষ করে নামকরা ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যাওয়াটা ঠিক করার জন্য। কিন্তু এদের ব্যবস্থা সাধারণত flawless হয়, টাই আপ বিদেশি হোটেল ইত্যাদির সাথে খুবই ভালো হয় তাই এই ডিসিশন। সবরকম ফর্মালিটি মানে ভিস...
জ্যোতিরলিঙ্গ নাগেশ্বর – বিজিত কুমার রায়

জ্যোতিরলিঙ্গ নাগেশ্বর – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
জ্যোতিরলিঙ্গ নাগেশ্বর বিজিত কুমার রায় গুজরাট ভ্রমণের সময় বেট দ্বারকা দর্শন করে ফিরে এলাম নাগেশ্বর শিব দর্শনে যা কোনো কোনো মতে বারো জ্যোতিরলিঙ্গের একটি। ভিড় ছিলোনা তাই সুন্দর দর্শন হলো। কথিত আছে এখানেই পূরাণে বর্ণিত দ্বারুকবন ছিল আর যেখানে বালখিল্য মুনিদের বাস ছিল। শিব পুরাণ অনুসারে, এই অঞ্চলে পুরাকালে দারুক নামে এক রাক্ষস রাজত্ব করত। দারুকের উৎপাতে সব মানুষ পরিত্রাণের জন্য ভগবান শিবের শরণাপন্ন হয়। দারুকের পত্নী ছিল দারুকী। দারুকী দেবী পার্বতীর উপাসিকা ছিল। পার্বতী দারুকীর প্রতি সন্ত্তষ্ট হয়ে তাঁদের রাজত্ব করা অরণ্যটির নাম দারুকবন আখ্যা দেন। সঙ্গে এই আশীর্বাদ প্রদান করেন যে, দারুকী যেখান দিয়েই যাবে দারুকবনও সেই স্থান দিয়ে গমন করবে। পরবর্তী সময়ে দেবতারা দারুকের রাজ্য আক্রমণ করায় দারুক নিজ পত্নীকে পার্বতীর বরদান সুপ্রয়োগ করার জন্য আদেশ দেয়। সেই হিসাবে দারুকী সাগরতীর দিয়ে পলায়ন করে...
দিকশূন্যপুরের পথে – ব্রতী ঘোষ

দিকশূন্যপুরের পথে – ব্রতী ঘোষ

গল্প
দিকশূন্যপুরের পথে ব্রতী ঘোষ আজ দুদিন ধরে ঝড় আসছে~ঝড় আসছে~এই খবরে আমাদের তটস্থ করে রেখেছে টিভি আর সোশ্যাল মিডিয়া৷ পর্ণাও একটু চিন্তায় আছে৷ দুপুরে জলের ফিল্টার থেকে বোতলগুলো একের পর এক ভরতে ভরতে নানান চিন্তা ওর মাথায় ঘুরপাক  খাচ্ছে৷ দুমাস হতে চললো ও বাড়িতে বসা৷ লকডাউন চলছে। সময় যেন আর কাটে না৷ সারাদিনের হুড়োহুড়ি যেন এক ধাক্কায় থমকে গেছে৷ এমনিতে দুদিনের বেশি অফিস ছুটি থাকলেই পর্ণা বাড়িতে হাঁফিয়ে ওঠে৷ যবে থেকে রিনি (পর্ণার একমাত্র মেয়ে) বাইরে চলে গেছে তবে থেকে ও পারতপক্ষে একদিনও অফিস কামাই করে না৷ বাড়ি ফিরে রিনিকে পড়ানো, ওর সাথে গল্প করা খুনসুটি~এই তো ছিল ওর জীবনে৷ প্রসূনের হঠাৎ চলে যাবার পর মেয়েকে একাহাতে মানুষ করতে করতে ও যে জীবনের অর্ধেকটাই কাটিয়ে দিল৷ আর রিনিটাও যে কখন ওর বন্ধু হয়ে গেল টেরই পাইনি পর্ণা৷ রিনি যতোটা না ওর মেয়ে তার বেশি বন্ধু৷ যখন দুজনে কথা বলে তখন বাইরের কেউ দেখ...
রূপনগরের রূপকথা (দ্বিতীয় পর্ব) – সিঞ্চন চট্টোপাধ্যায়

রূপনগরের রূপকথা (দ্বিতীয় পর্ব) – সিঞ্চন চট্টোপাধ্যায়

ধারাবাহিক
রূপনগরের রূপকথা (দ্বিতীয় পর্ব) সিঞ্চন চট্টোপাধ্যায় (আজ লালনের পালা) লালনের আসল নাম কেউ জানেনা। কোথা থেকে এসেছে তাও কেউ জানে না। জানেন শুধু বাবামশাই। বোধহয় লালন ফকিরের গান গায় বলে বাবামশাই ওর নাম লালন রেখেছেন। অস্টিন ছাড়া বেশিরভাগএর নামই তো বাবামশায়ের দেওয়া। লালন তো শুধু ফকিরের গান গায় না, সুফি গায়, লোকসংগীতও গায়। আজ সবার খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্ব লালনের। সকাল থেকে রান্নাঘরের ব্যবস্থা সামলে তবে এসেছে রঙ্গমঞ্চে। প্রায় ২৫ জন পুরুষ ও মহিলা সেই কোন্ ভোর থেকে রান্নাঘরের কাজে ব্যস্ত। লোক তো কম নয়! তিনশ জন ছাত্র, পঞ্চাশ জন শিক্ষক ও কর্মচারী, দুশো জন সেবক ও সেবিকা, ডাক্তার ও সহকারি মিলিয়ে সেও প্রায় পঞ্চাশ জন। এছাড়াও বহিরাগত অতিথির সংখ্যা বাড়ে কমে রোজ। আজ যেমন প্রায় তিনশো লোকের রান্না হচ্ছে। রূপনগরের রান্নাঘর এর বিশেষত্ব, এখানে পুরো রান্নাটাই হয় সৌরশক্তিতে। নিচে রান্নাঘর। তার ওপরে...
রোমান কলোসিয়াম অম্ফাথিয়েটার – পলাশ দোলই

রোমান কলোসিয়াম অম্ফাথিয়েটার – পলাশ দোলই

আঁকিবুকি
পলাশ দোলই অঙ্কিত এই রোমান কলোসিয়াম অম্ফাথিয়েটার, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের  একটা; নিষ্ঠুরতার নেতৃত্ব দিয়েছিলো এই সৌধ, আজ  দাঁড়িয়ে একা, মরুভূমে! ওয়াটার পেইন্টিং - রোমান কলোসিয়াম ছবিটি ব্রুস্ট্র ২৫ % কটন, ৩০০ জিসম পেপার এ 0.৭ বল পয়েন্ট পেন ও ক্যামলিন ওয়াটার কালার দিয়ে আঁকা। ********************************************   পলাশ দোলই পরিচিতি কল্যাণী সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্নাতক। বর্তমানে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লী তে ভেল (BHEL) কোম্পানি তে এক্সিকিউটিভ পদে কর্তব্যরত ও অবসর সময় ছবি আঁকা ও সংগীত চর্চায় আগ্রহী।...
সারসের প্রতি – অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য্য

সারসের প্রতি – অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য্য

কবিতা
সারসের প্রতি অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য্য বেদনার গ্লানি তোমার ডানায় মুছে যেতে দেখেছি, পাত্র ভরা কানায় কানায়, যেন একসাথে থেকেছি, আরও নেশা করব বলে। আমার উৎসাহের অতলে কেউ যেন মুখ ফিরিয়ে আছে, বোঝা না বোঝার উর্ধে যেন, যদি পড়ে ধরা কারুর কাছে! নদীর তীরটি ধরে- পায়ে চলা পথের থেকে সরে সরে- যে বালির চরে একটা পরিমিত সাদা অঙ্গন গড়েছ তোমরা- আমাদের নিগূঢ় শীতে, তোমাদের প্রাণভোমরা অবহেলে করেছে গ্রহণ একটা কবোষ্ণ উত্তাপ। দূরাগত শোকসন্তাপ, যেখানে মলিন সূর্য্যের, সাথী হয়েও- শুভ্র হিমশৌর্য্যের মানে পরাভব- সে গণরাজ্যের পাকদন্ডী বেয়ে মহাচীন হিমালয় ছেয়ে যখন থেকে জীব জীবের পেয়েছে সাড়া- তখন থেকে আমরা একাকীত্বের দূত- এই জেনে এই দেখে- উড়েছো এক পরিযায়ী চেতনার আশ্রয়ে। আবেগের সাশ্রয়ে, তোমাদের উড্ডীন পাখার ব্যপ্তি যখন, দূরের গাঢ় নীলে, ছায়া ফেলে থাকার স্বপ্ন মেলে, প্রচ্ছন্ন উদ্বেগে- আমা...
পিছুটান – রিমিতা কর

পিছুটান – রিমিতা কর

গল্প
পিছুটান রিমিতা কর প্রায় ষোলো বছর পর পায়রাডাঙা স্টেশনে পা রাখল পৃথা। ট্রেন থেকে নেমে চারদিকটা ভালো করে  দেখল। অনেক পাল্টে গেছে সবকিছু। প্ল্যাটফর্মে বড়  একটা স্ন্যাক্সের দোকান  হয়েছে। টিকিট কাউন্টারের দিকটাও বেশ ঝকঝকে হয়েছে। আগে কেমন একটা মফস্বলের ছাপ ছিল।এখন আর নেই। প্ল্যাটফর্ম ধরে হাঁটতে হাঁটতে পৃথার চোখে পড়ল  কৃষ্ণচূড়া গাছটা। লাল ফুল আজও  বিছিয়ে পড়ে আছে মাটিতে। পৃথার জীবনের দীর্ঘ  দশ বছরের অনেক উত্থান পতনের সাক্ষী এই কৃষ্ণচূড়া গাছ, এই স্টেশন। স্টেশন থেকে বেরিয়ে রিক্সাস্ট্যান্ডে এসে পৃথা অবাক হল। স্টেশন রোডের দুপাশে সারি সারি কত নতুন দোকান আর মানুষের ভিড়। রিক্সা টোটো বাইকের জটলা রাস্তার মোড়ে। সেদিনের গ্রাম্য নির্জন পায়রাডাঙার গায়ে রীতিমতো  আধুনিকতার হাওয়া লেগেছে। সময়টাও তো নেহাত কম নয়। পৃথার জীবনেও তো কত অজানা অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে। পৃথা মনে মনে ভাবল ভাগ্যিস দেবরূপের কথায় বাড়ির গাড়িতে ...
সবুজ প্রজাপতি – সুরজিৎ সরখেল

সবুজ প্রজাপতি – সুরজিৎ সরখেল

গল্প
  সবুজ প্রজাপতি সুরজিৎ সরখেল "কি হল রে,! মোবাইলটা বন্ধ করে শুয়ে আছিস! আর সকাল থেকেই যতবার ফোন করছি, সুইচ অফ। ঘড়িতে এখন তোর বারোটা বাজতে বারো মিনিট বাকি!"একতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে গম্ গম্ করে কথাগুলো বলতে বলতে সৌমীর ঘরের দরজাটা আস্তে ঠেলে রাজা সৌমীর মাথার কাছে বিছানায় নিঃশব্দে বসে পড়ল। এখনও নিঃসাড়ে ঘুমিয়ে আছে। একদৃষ্টে চেয়ে থাকে রাজা। নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ওঠানামার সঙ্গে বুকের মধ্যে একটা ঘড়ঘড় আওয়াজ ভেসে আসছে। কে বলবে ওখানেই মারণ রোগ বাসা বেঁধেছে পাকাপাকি ভাবে! গত বছর কাকু মারা যাবার পরেই রোগটা ধরা পড়ে। এখন সেকেন্ড স্টেজ চলছে। "কার্সিনোমা" খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীর জুড়ে। ঠিক সময়ে ঠিক চিকিৎসা না হলে....! একটা আশঙ্কা ঘিরে ধরতেই রাজার চোখটা ছলছল করে উঠল। এ বাড়িতে মাত্র তিনটে মানুষ। সৌমী, সৌমীর মা সুনন্দা,আর ঠাকুমা। ঘুষুড়ি স্টেশনের পশ্চিমদিকে এই চক্রবর্ত...

ভবিষ্যৎ – সঞ্জীব নারায়ণ দত্ত

কবিতা
ভবিষ্যৎ সঞ্জীব নারায়ণ দত্ত আসন্ন সময় পঞ্জিকায় জোয়ার ভাঁটা নিয়ে কোনো পূর্বাভাস নেই, নেই কোনো সময়ের নির্ঘন্ট ৷ তাই নিস্তরঙ্গ ভেসে চলার কথা হালকা চিন্তাগুলোই শুধু রেখে দাও৷ ভারী স্বপ্নগুলোকে নিয়ে এখন আর একটুও এগোনো যাবে না৷ আসন্ন সময় পঞ্জিকায় কোন মাহেন্দ্রক্ষণ বলে কিছু নেই৷ যে কোন মূহুর্তেই শুরু হতে পারে বিপদ। শুরু হতে পারে বৃষ্টি আর তাই প্রতি মূহুর্তে চূড়ান্ত সতর্কতা৷ আগুনে পুড়তেও পারি এমনকি বৃষ্টিতেও ভিজতে পারি৷ আসন্ন সময় পঞ্জিকার প্রথম ও শেষ পাতাটাই নেই তাই শুরু আর শেষ দুটোই জিজ্ঞাসায় মোড়া৷ ******************************************** কবি পরিচিতি ~ জন্ম ও পড়াশোনা কোলকাতায়৷ মূলতঃ ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী৷ বিজ্ঞানের ছাত্র সঞ্জীব কোলকাতার ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজ থেকে চিত্রকলা ও ভাষ্কর শ্রী মাধব ভট্টাচার্যের কাছে ভাস্কর্যের শিক্ষা লাভ করেন৷ সারা দেশে ও বিদেশে তাঁর শিল্প ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!