Shadow

Author: Kulayefera

বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (দ্বিতীয় ভাগ) – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (দ্বিতীয় ভাগ) – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

ধারাবাহিক
বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (দ্বিতীয় ভাগ) রঞ্জন চক্রবর্ত্তী বিদ্যাসাগরের শিক্ষা বিস্তারের নীতিতে নারী সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বেথুন ও বিদ্যাসাগরের মিলিত প্রচেষ্টায় ১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দু ফিমেল স্কুল (পরবর্তীকালে বেথুন স্কুল) স্থাপিত হয়। বাংলায় তখনও স্ত্রীশিক্ষা সমাজের অনুমোদন পায় নি। কিন্তু অভিজাত ও ভদ্রঘরের মেয়েরা বিদ্যালয়ে না এলে স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারের মূল উদ্দেশ্য সফল হবে না। এই অবস্থায় বিদ্যাসাগর শাস্ত্রবাক্য উদ্ধার করে রক্ষণশীলতার প্রাচীর ভাঙলেন। বিদ্যাসাগর ও মদনমোহন তর্কালঙ্কারের চেষ্টায় ঐ বিদ্যালয়ে মদনমোহনের দুই কন্যা ছাড়াও রামগোপাল ঘোষ, ঈশানচন্দ্র বসু, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, তারানাথ তর্কবাচস্পতি, নীলকমল বন্দোপাধ্যায়, হরপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কন্যারাও যোগ দিয়েছিল। ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দে বেথুনের মৃত্যুর পর বিদ্যাসাগরের চ...
জ্যোতির্লিঙ্গ কেদারনাথ – বিজিত কুমার রায়

জ্যোতির্লিঙ্গ কেদারনাথ – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
জ্যোতির্লিঙ্গ কেদারনাথ বিজিত কুমার রায় "ঐ যে দেখা যায় কেদারনাথধাম --- মন্দাকিনীর ওপারে যেথা শান্ত হইবে চরণ যুগল -- তৃপ্ত হবে মন প্রাণ দীর্ঘ বাসনা পূরণ হইবে -- জপ জপ শিব নাম । আমাদের স্বর্গারোহন শুরু হয়েছিল গৌরীকুন্ড থেকে। তার আগের পথটুকু এসেছিলাম হরিদ্বার থেকে বাসে কলকাতার একটি ট্র্যাভেলস এর সাথে। তারপর গৌরীকুণ্ডে রাত্রিবাস করে পরদিন রওয়ানা বাবার ধামের উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ ১৪ কিমি পাহাড়ি রাস্তা ভেঙে ১১৭৫৩ ফুট ওপরে বাবার মন্দিরে উঠতে হবে। রাস্তাও সেই ভাবে সুষ্ঠু ভাবে বাঁধানো নয়। অবশ্য আমরা গিয়েছিলাম ২০০৯ সালে। এখন তো সেই রাস্তাই আর নেই, আরো নেই সেই গৌরীকুন্ডের জনপদ। ঐ যে বলেনা তুমি যাও বঙ্গে, তোমার কপাল যায় সঙ্গে। আমাদের তাই দশা হলো। ভোরবেলা আগের দিন ঠিক করে রাখা পনি পাওয়া গেলোনা কারণ নাকি ঘোড়ার মড়ক লেগেছে। তাই কিছুটা চৌদোলাতে আর কিছুটা পদব্রজে যাত্রা। যাত্রার দীর্ঘ বিবরণ দেওয়ার ইচ্ছা নে...
জীবন্মুক্তির অজানা তথ্য – অমৃতা লাহিড়ী

জীবন্মুক্তির অজানা তথ্য – অমৃতা লাহিড়ী

বোধিবৃক্ষ
জীবন্মুক্তির অজানা তথ্য অমৃতা লাহিড়ী হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা সম্পর্কে আমরা সকলে অবহিত। কিন্তু গীতার অনেকগুলো ভাগ আছে এবং সেই ভাগ সম্বন্ধে আমরা অনেকেই অবহিত নই। আমি যে গীতার ভাগ নিয়ে উপস্থিত হয়েছি, তার নাম "শিবগীতা"। এই গীতা হয়তো অনেকেরই অজানা। সেই অজানাকে জানার জন্য আমার আলোচ্য বিষয় "শিবগীতা"।  সনাতন হিন্দু ধর্মে বিয়াল্লিশ রকমের গীতা আছে। গীতা বলতে আমরা যা বুঝি তা হ’ল কোন ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক জ্ঞান যা গীত বা সুরারোপ করে গুরু শিষ্যকে প্রদান করেন। বাস্তব জীবনে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে পন্ডিত ব্যক্তি গীতা পাঠের মাধ্যমে সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে থাকেন। এই বিয়াল্লিশ রকমের গীতার অধিকাংশ মহাভারত থেকে সংকলিত।  ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ নিঃসৃত ভগবদ্গীতা, আর শিব এর মুখারবিন্দ থেকে নিঃসৃত শিবগীতা। মহাভারতের ভীষ্মপর্ব থেকে উৎপত্তি ভগবদ্গীতা, আঠারো অধ্যায় সমন্বিত। এই ভাবে পদ্মপুরাণ...
গন্ধপুরাণ – হিমাশিস ভট্টাচার্য্য

গন্ধপুরাণ – হিমাশিস ভট্টাচার্য্য

গল্প
                                                                                                        গন্ধপুরাণ                                                                                                    হিমাশিস ভট্টাচার্য্য শেষ সময়ে বাবা মাঝে মাঝে অদ্ভুত আচরণ করতেন। শরীর খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। থাকতেন আধো ঘুমে, আধো চেতনে। কখনো অতি সক্রিয় হয়ে বলতে শুরু করতেন – ঘরের সোফা চেয়ার গুলো খালি করে দাও। দেখছ না কারা এসেছেন? তাঁদের বসতে দাও। বাবার কথা শুনে মা আশেপাশে তাকিয়ে দেখতেন কেউ তো নেই। বাবা রেগে যেতেন। বলতেন - বাবা, মা, কাকা, ঠাকুরদা, জ্যাঠামশাই সবাই এসেছেন একসঙ্গে। তাঁদের বসতে দাও। মা হয়তো ধোওয়া কাপড়গুলো ছাদ থেকে এনে সোফায় রেখেছেন, পরে গুছিয়ে রাখবেন। বাবার কথা শুনে তাড়াতাড়ি সব সরিয়ে ফেলতেন। তখন বাবা ঠাণ্ডা হয়ে একা একা যেন কার সঙ্গে কথা বলতেন। মা ভয় পেয়ে আমাদের সবাইকে ডেকে নিয়ে আসত...
অপরূপা কৌশানী – ডঃ স্বয়ংদীপ্ত বাগ

অপরূপা কৌশানী – ডঃ স্বয়ংদীপ্ত বাগ

কবিতা
  অপরূপা কৌশানী ডঃ স্বয়ংদীপ্ত বাগ পাহাড়িয়া রাণী তুমি, অপরূপা কৌশানী, হিমালয়ের অন্তঃপুরে, সবুজে সবুজে ভরে, তুমি একখন্ড শান্তি-স্থল, স্তব্ধ কিন্তু প্রাণোচ্ছ্বল! সামনে দিগন্ত জুড়ে— বরফে শিখর মুড়ে, আলোছায়ার ফাঁকে ফাঁকে, নতুন ছবি ঝলকে-পলকে, নাম না জানা ফুলের মেলায় এদিক ওদিক উপত্যকায়, হিমেল হাওয়া শিরশিরিয়ে, পাইন বনে যায় হারিয়ে ।  যতদূর চাই --- শেষ যেনো নাই, পাহাড় আকাশ – হলো এক ঠাঁই, এতো মায়াবী, কুমারী প্রকৃতি, অন্য কোথাও দেখিনি; স্মৃতি-সুখের সাথীও তুমি, অপরূপা কৌশানী ।। **************************************************** ডঃ স্বয়ংদীপ্ত বাগ পরিচিতিঃ ভূগোল নিয়ে গবেষণা, পেশায় শিক্ষক। কিন্তু  প্যাশন  ভ্রমণ ,সাহিত্য ও সংগীত চর্চায় (সেতার)। বিভিন্ন সংবাদপত্র ও পত্রিকায় নিয়মিত লেখক ।লেখালেখির প্রয়াস সীমাবদ্ধ মূলতঃ প্রবন্ধ ও কবিতায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দুই। এছাড়া ব...
ভালোবাসা – ননীগোপাল মহারাজ

ভালোবাসা – ননীগোপাল মহারাজ

বোধিবৃক্ষ
                                                                                          ভালোবাসা    ননীগোপাল মহারাজ বেলুড়মঠে স্বামীজীর নির্দেশে রাত চারটের সময় ঘন্টা বাজিয়ে সবাইকে জাগিয়ে দেওয়া হতো। সাধু ব্রহ্মচারীরা সবাই ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুত হয়ে এসে ঠাকুরঘরে ধ্যান জপ করতেন। তাঁর প্রখর শাসনে এই নিয়মের কোন নড়চড় হওয়ার উপায় ছিল না। স্বামীজী কঠোর নিয়ম করেছিলেন, যে সাধু বা ব্রহ্মচারী নির্দিষ্ট সময়ে ঠাকুর ঘরে আসতে পারবে না, তাকে সেদিন বাইরে থেকে ভিক্ষা করে এনে খেতে হবে। সেদিন সে মঠে খেতে পাবে না। একদিন মহাপুরুষ মহারাজ স্বামী শিবানন্দ কোন কারণে নির্দিষ্ট সময়ে ঠাকুর ঘরে আসতে পারলেন না। স্বামীজী তাঁর কাছে গিয়ে বললেন, “তারকদা (স্বামী শিবানন্দ, পূর্বাশ্রমের নাম ছিল তারক) আমরা একটা নিয়ম করেছি যে, নির্দিষ্ট সময়ে ঠাকুর ঘরে এসে সাধন-ভজন না করতে পারলে তাকে সেদিন বাইরে ভিক্ষা করে খেতে ...
অভিশপ্ত রাগিনী (দ্বিতীয় পর্ব​) – রামানুজ দাশগুপ্ত

অভিশপ্ত রাগিনী (দ্বিতীয় পর্ব​) – রামানুজ দাশগুপ্ত

ধারাবাহিক
অভিশপ্ত রাগিনী  রামানুজ দাশগুপ্ত  (দ্বিতীয় পর্ব) দিব্যর বড় দাদা একদিন তাকে ডেকে বাবার উইল দেখালো। বাবা বাড়ির একখানা ঘরও তার নামে নাকি লিখে দিয়ে যাননি। বড়দা বলে," শোন, শুধু তো গান বাজনা নিয়েই পড়ে রইলি। তিন পুরুষের ব্যবসা, কটা দিনই বা ব্যবসার কাজে মাথা ঘামিয়েছিস? বাবা-ই ঠিক করে গেছেন সব"। দিব্য ভাবে, এটা কি করে সম্ভব! বাবার প্রেরণা আর  উৎসাহতেই গান বাজনার জগতে আসা। বাবা-ই তো একদিন বলেছেন ব্যবসা দেখার জন্য তো ওরা আছে তুই তোর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা কর। আমি তো আছি মাথার ওপর। বাবা তাকে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িও কিনে দিয়েছিল। সেই বাবা তাকে একখানা ঘরও দিয়ে যাননি, এটা কি করে সম্ভব ! দিব্য চুপ করে বসে থাকে। বড়দা বলেন, “শুনছি তো বেশ নামডাক হচ্ছে। পয়সাও নিশ্চয়ই ভালো কামাস।কটা পয়সা সংসারে দিয়েছিস ? যাক,একটা কথা শুনে রাখ, ছয় মাস সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে বাড়ির একটা সামান্য অংশ যদি কিনে নিতে প...
রবীন্দ্রনাথ মোনোক্রম আর্টে – ভীষ্মদেব ব্যানার্জ্জী

রবীন্দ্রনাথ মোনোক্রম আর্টে – ভীষ্মদেব ব্যানার্জ্জী

আঁকিবুকি
রবীন্দ্রনাথ মোনোক্রম আর্টে শিল্পী - ভীষ্মদেব ব্যানার্জ্জী শিল্পী পরিচিতিঃ উদ্ভিদবিদ্যার মেধাবী ছাত্র ভীষ্মদেব ব্যানার্জ্জীর জন্ম, ইতিহাস প্রসিদ্ধ মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরের এক অভিজাত পরিবারে। শৈল্পিক পরিমন্ডলে বড়ো হওয়ায়,  সহজাত দক্ষতা থেকেই পেন্সিল স্কেচ, সস পেন্ট এবং অয়েল পেন্টিং-এর প্রতি অনুরাগ তরান্বিত হয় শিল্পীর। প্রচলিত ধ্যানধারণার বাইরে গিয়ে নিত্যনতুন শিল্পসৃষ্টির তাগিদেই এই মোনোক্রোম আর্টে উৎসাহিত হন। কোলাজের ভিন্নতর রূপ এই মোনোক্রোম আর্ট। কোলাজে যেমন বিমূর্তভাব প্রকট, মোনোক্রোম আর্টে থাকে আনুপুঙ্খিক বর্নণার আধিপত্য। স্বভাবতই, শ্রম ও মনোনিবেশের একটু বেশীই প্রয়োজন হয় এই শিল্প কলায় ।।...
আলোকের এই ঝর্ণাধারায় – অনসূয়া সরকার বিশ্বাস

আলোকের এই ঝর্ণাধারায় – অনসূয়া সরকার বিশ্বাস

গল্প
                                    আলোকের এই ঝর্ণাধারায়                                                                                    অনসূয়া সরকার বিশ্বাস                                                                                       (১) সকাল থেকেই মাথাটা ভার হয়ে আছে শ্রীলেখার। কেমন যেন একটা গুমোট লাগছে। জানালার পর্দা সরিয়ে কিছুক্ষণ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, বাগানে গন্ধরাজ গাছটার দিকে। ফুলে ফুলে ভরে গেছে গাছটা। সন্ধ্যে হলেই সুন্দর গন্ধে চারদিকটা ভরে যায়। এই গাছটা টিডো আর শ্রীলেখা একসঙ্গে লাগিয়েছিল। মাঝে মাঝে বড্ড নিঃসঙ্গ মনে হয়। কে আছে তার টিডো ছাড়া? দেবাশীষ চলে যাবার পর ওই তো তার শিবরাত্রির সলতে। অদ্ভুত শীতল সম্পর্ক তাদের মা ছেলের। অথচ ছোটবেলায় কি ন্যাওটাই না ছিল  টিডো ! আর আজ ! হাজার চেষ্টা করেও দশ বছর ধরে এই দুর্লঙ্ঘ্য্ সীমারেখা অতিক্রম করতে পারেনি শ্রীলেখা। ক্লাস...
দাশু তোর সঙ্গে – ইন্দ্রাণী ঘোষ

দাশু তোর সঙ্গে – ইন্দ্রাণী ঘোষ

গল্প
দাশু তোর সঙ্গে ইন্দ্রাণী ঘোষ দাশু সেদিন দুপুরবেলা পাড়ার মোড়ে বসে সেই মার্কামারা হিনডেলিয়ামের টিফিন কৌটো খুলে কি যেন খাচ্ছিল। আমারও চনচন করে  ক্ষিদে পেয়েছে, ইশকুল থেকে ফিরছি। একটু উঁকি মারতে গেছি, ব্যাটা বলে 'বাড়ী গিয়ে খা না, হ্যাংলামি এ বয়েসেও গেল না। আমি বললাম, 'তোরই বা খাবার জায়গা এরম কেন? খেটেখুটে ফিরছি  ক্ষিদে পেয়েছে, আর গাছতলায় বসে তুই লুচি, তরকারি খাচ্ছিস। চাইওনি, শুধু তাকিয়েছি, তাতেই এত কথা।' বলে হাঁটা লাগিয়েছিলাম। দাশু বললে 'খেয়ে কি করবি, রক্ত দিতে তো পারবি না, তোর তো লো প্রেসার। ইশকুলে রক্তদান শিবির আছে।' রোববার সকাল থেকেই মনটা কেমন ইশকুলের দিকে টানছিল। ভাবছিলাম দাশু যা চ্যাটাং, চ্যাটাং কথা বলল সেদিন ভরদুপুরে, ব্যাটাকে জবাব না দিলেই নয়। রক্ত দেব না তো কি হল। দাশুর বন্ধুদের পাশে তো থাকতে পারি। সত্যিই দাশুদের বন্ধুরা যে একসাথে হয়, হৈচৈ করে, বন্যা  দুর্গতদের জন্য কোন প্রত্যন্ত ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!