Shadow

Author: Kulayefera

আজ যে সূর্যম্পশ্যা – অর্চনা মহান্তি 

আজ যে সূর্যম্পশ্যা – অর্চনা মহান্তি 

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
আজ যে সূর্যম্পশ্যা অর্চনা মহান্তি  সূর্যের দিকে মুখ করে হাঁটিনি কখনো; এক আঁজলা আধুনিক-আলোও মাখা হয়নি এখনো আমার পূর্ণ অধিকারে সামাজিক বিধানের ভারে। সনাতনী সংস্কারে---আজন্মের অসূর্যম্পশ‍্যা আমি; বড় সাধারণ,পরিচিতি হীনা সস্তা-অনামী। বরাবর সূর্যকে আড়ালে রেখে হেঁটে চলেছি নিজের সমাধি ক্ষেত্রের  নির্জন নিস্তব্ধতায়, বিষণ্ন মমতায়। কখনো আবার গেছি ভগ্ন কোন উপাসনা মন্দিরের পাথরের দেবতার প্রসন্নতায় কৃতার্থ হতে, একমুঠো প্রসাদী খই আশীর্বাদ পেতে। যে মন্দিরে আজ দেবতাই নেই আদৌ,বা  ছিলনা কোনদিন,কোনকালে; আমিই দেবদাসী সেজে নেচে গেছি তালে-বেতালে। অপদেবতা খেয়ে গেছে ভোগের  আলোচাল,দুধ-কলা-মধু,  পড়ে আছে শুকনো ফুল,মালা,বেলপাতা শুধু। দেবতাকে উৎসর্গীকৃত স্বল্প ভোগে মেটেনি তার দানবীয় খিদের তাড়না বুভুক্ষু অনন্ত খিদের বাসনা । প্রচণ্ড উষ্মায় বিখন্ডিত করেছে আমাকে বিদ্বেষের ধারালো কুঠারে;  নিষ্ঠুর-নির্মম প্...
বন বাংলো – মধুমিতা মিত্র

বন বাংলো – মধুমিতা মিত্র

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
বন বাংলো   মধুমিতা মিত্র সুকুমারের আজ বড়ো আনন্দের দিন। কলেজ থেকে বেরোনো-চাকরি পাবার পর প্রথম বার তিন বন্ধুতে মিলে চলেছে পাহাড় পরিক্রমণে। নানা!--পরি ক্র ম ণ নয় তো ! যাচ্ছে ওরা পাহাড় পরিভ্রমণে;তা ও কিন্তু যে সে পাহাড় নয়। ভারতবর্ষের উত্তর পূর্বাঞ্চলের অরুণাচল প্রদেশ,যার উচ্চতা,দুর্গমতা,সৌন্দর্য গোটা দেশের আলোচনার,আকর্ষণের বিষয় সেই অরুণাচলেই তারা তিনমূর্তি চলেছে আনন্দ ভ্রমণে।উফফফ বলাই হয় নি-এই তিন মূর্তিও কিন্তু কলেজেরও খুব আলোচনার বিষয় ছিল কারণ এদের মধ্যে এক মূর্তি যে শ্রী নয়,সে তো শ্রী ম তী.. শত্তুরের মুখে ছাই দিয়েও এই তিন মূর্তি কিন্তু পুরো কলেজ কালটাই এক আত্মা,এক প্রাণ হয়ে সবার চোখ-মন টাটিয়ে তাদের সখ্যতাকে দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর ক'রে এবং এই কলেজ উত্তর কালেও একজোট হ'য়ে আবার চলেছে দেশ ভ্রমণে! তা যাই হোক সুকুমার কপাল গুণে বাড়ীর কাছেই কর্মস্হল জোটাতে পেরেছে কিন্তু বিশ্ব আর এষা ! তার...
প্রেয়ার ফ্ল্যাগ – শাঁওলি দে

প্রেয়ার ফ্ল্যাগ – শাঁওলি দে

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
প্রেয়ার ফ্ল্যাগ শাঁওলি দে পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে গ্রামগুলো ছবির মতো সাজানো। অনেক বেশি উচ্চতায় উঠে নিচের দিকে তাকালে মনে হয় কালী পূজায় নিজস্ব ছোট্ট পাহাড় বানিয়েছে পাড়ার কচিকাঁচারা। রাতের বেলা ঘরে ঘরে বাতি জ্বলে উঠলেই ঠিক যেন দীপাবলীর সাজ,একেবারে মনোমুগ্ধকর। নিজের চার চাকায় একটু একটু করে ওপরে উঠছে অনির্বাণ। পাহাড় ওকে ইদানিং পাগলের মতো টানে,যখনই এক দু’দিনের ছুটিছাটা ম্যানেজ করা যায় তখনই পাহাড়ের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়ায় ও। এ যে কী এক নেশা কাউকে বলে বোঝাতে পারে না সে। বাড়িতে এই নিয়ে অশান্তিও কম হয় না। কিন্তু পাহাড় ডাকলে সে ডাকে সাড়া না দিয়ে ওর কোনো উপায় থাকে না। ওর এই পাহাড়ের টান কাউকে কি বোঝানো সম্ভব ? এবারে ছুটিটা একটু লম্বাই হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার একটা ছুটি পড়েছে,শনিবারটা ম্যানেজ করলেই শুক্র,শনি আর রবি তিনদিন টানা পাওয়া যায়। সোমবার সকালে নেমে দিব্য অফিস ধরা যাবে। সুতরাং আর নিজেকে বেঁধে রাখার কো...
অন্ধকার গুহা – পূর্ণ দে 

অন্ধকার গুহা – পূর্ণ দে 

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
অন্ধকার গুহা      পূর্ণ দে  প্রখর রোদ্দুরে পোড়া মাটির গন্ধ আকাশে মেঘেরা দেয় হাতছানি লেখা হয় জন্ম জন্মান্তরের ইতিকথা ঘুরেফিরে শস্য হীন মাঠের ব্যর্থ কাহিনী নগরে-বন্দরে-শহরে জনতার কোলাহল হারিয়ে যায় আগামীর সমস্ত পথ রাষ্ট্রের প্রচ্ছন্ন মদতে বারংবার ------- ছিন্নভিন্ন করে শ্রমিকদের গুপ্ত শপথ  বস্তির ছোটো ছোটো ঝুপড়িগুলি প্রতিনিয়ত ঝিমায় রোগ অসুখে জীর্ণ দেওয়ালের ঘুটঘুটে অন্ধকার গুহা জেগে ওঠে নাগরিক সভ্যতার সুখে  শোষণ ও শোষিতের গল্প চিরকাল শুয়ে থাকে কঙ্কাল বিছানো রাস্তায় মিছিল আর শ্লোগানে মুক্তির আহ্বান তবু শ্রমিকের ঘাম- রক্ত মালিকের মুনাফা। ************************** পূর্ণ দেঃ আরামবাটি। নিমপুরা খড়্গপুর,পশ্চিম মেদিনীপুর    ...
মুখ বদল – অঙ্কন দন্ড 

মুখ বদল – অঙ্কন দন্ড 

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
             মুখ বদল             অঙ্কন দন্ড  সময় স্রোতে পাল্টে ফেলি মুখ তাই তো আমি ভিলেন কারোর কাছে, কেউ বা আবার ভাবছে আমায় হিরো, জানবে না কে মুখোশ তলে আছে। সময় বুঝে পাল্টে যাওয়ায় রীতি, স্থির নদীতে শ্যাওলা বানায় বাসা। বুকে নিয়ে সাগরসম ঢেউ নতুন সাজে পাড়ের কাছে আসা। কারোর কাছে সবটা আমি মেকি, কেউ বা ভাবে আমায় সত্য প্রতীক। ভালোবেসে তুলবে মাথায় কেউ, কেউ বা মনে জানায় শুধুই ধিক্। নতুন আঘাত জোগায় নতুন মুখোশ বাঁচতে সুখে বদল হওয়া চাই, প্রবল বেগে বইতে চাওয়ার সাধে মায়ার পাড়ে ভাঙন ধরে তাই। ******************************** অঙ্কন দণ্ডঃ জন্ম ২০০৩ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী। বাসস্থান পুরুলিয়া জেলার আদ্রায়। অঙ্কনের লেখালেখির পথ চলা কবিতা দিয়ে। আনন্দবাজার পত্রিকার জেলার পাতা "ছোটদের পাতা" শীর্ষক-এ তার স্বরচিত কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হত। স্থানীয় পত্রিকা "ঊষশ...
তালাশ – প্রদীপ মন্ডল

তালাশ – প্রদীপ মন্ডল

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
      তালাশ কলমে - প্রদীপ মন্ডল পৃথিবীর গা শুঁকে শুঁকে নিচ্ছিলাম ভালোবাসার ঘ্রাণ, যদি,কোথাও মিলে যায় নিঃস্বার্থ একটা মন। নিষ্পাপ কোমল অতিশয় বিগলিত হৃদয়, মিথ্যা ছলনা প্রবঞ্চনা আর দুষ্টাচার নেই তেমন। পাথরের কাছে গিয়ে পেলাম বিড়ম্বনা, অশ্রু বিগলিত ঝর্ণাধারা বলে আমি নিজেই তো পাথর। যুগ যুগান্তর ঘাত-প্রতিঘাতে হয়েছি কঠোর শিলা, আমার কাছে মন খোঁজা অবান্তর। অশ্রুধারায় নিমজ্জিত হয়ে গেলাম নদীর কিনারে, সেও বলে আমিও যে ভীষণ নিরুপায়। সব ময়লা ধুতে ধুতে নিজেই এক আবর্জনা, আঘাতে আঘাতে গেছি এদিক সেদিক বেঁকে। আকাশকে বললাম মনের কথা, তারারা শুনে হাসলো মিটিমিটি। চাঁদও বললো আমি নিজেই কলঙ্কিনী, পরের আলোয় আলো দিয়ে আঁধারে মুখ ঢাকি। ফিসফিসিয়ে শুনলাম বাতাসের কথা, ঝড়ের গতিতে চলে একবুক দীর্ঘশ্বাস। তার মন ঝড়ো হাওয়ায় ছুটে দিগ্বিদিক, ভেঙেচুরে হয়ে গেছে তছনছ। রাত সেও দেখি বেজায় মুখ গম্ভীর, যত অপরাধী তা...
পলাশ সাথী – নীতা কবি মুখার্জী

পলাশ সাথী – নীতা কবি মুখার্জী

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
        পলাশ সাথী       নীতা কবি মুখার্জী দুরন্ত বসন্তের পাতাঝরা দিনে আনমনে বসেছিলাম আগুন রঙের ফুলে ভরা পলাশের তলায়। তুমি এসে একটা পলাশ ফুল হাতে দিয়ে বললে,"এই,আজ থেকে আমরা পলাশ সাথী হলাম!" একটু পরে  তুমি এসে আমার চোখ টিপে ধরলে,বললে,বলো তো কে? আমি তোমার গায়ের চেনা গন্ধটা অনুভবে করে বললাম---তুমি----তুমি....আমার পলাশ সাথী... হাসতে হাসতে পাশ ঘেঁষে বসে জড়িয়ে ধরলে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে। ভালোবেসে একটা ছোট্ট চুম্বন এঁকে দিলে আমার অধরে সেদিন থেকেই ভালোবাসার অনুভূতি জাগ্রত হলো,শরীরে,মননে,চিন্তনে। কতকগুলো পলাশ ফুল কুড়িয়ে গুঁজে দিলে আমার খোঁপায়। বললাম,একি করছো? বললে,বেশ করছি। দেখবে এই পলাশের সুন্দর রঙের মতো রঙিন,অম্লান হবে আমাদের ভালোবাসা। কি অপূর্ব অবশ করা পরশ ছিল সেই পবিত্র চুম্বনে! বুকের মাঝে চেপে ধরে সেদিন তুমি বলেছিলে---তুমি আমার--আমার--শুধু আমার... আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত নিজেকে স...
উন্মুক্ত – মেঘদূত (শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা)

উন্মুক্ত – মেঘদূত (শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা)

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
               উন্মুক্ত  মেঘদূত (শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা) তোমার বিরহে মথিয়া হৃদয়            আকুলি উঠিছে প্রাণ, বিরহ ব্যথায় ভরেছে নয়ন            মেনেছি প্রেমের দান। মনের পাতায় স্মৃতির দোলায়            তৃষিত হৃদয় কাঁদে, হারানো অতীত আবেগে শিঞ্জিত            স্বপ্নকে আগলে বাঁধে। দুরূহ জীবন করুণা কঠিন            তরল গরল ধারা, নিভেছে প্রদীপ তমসা ছেয়েছে            মুদ্রিত নয়ন তারা। আশায় বেঁধেছি ব্যাকুল হিয়ারে           শোনাবো নতুন গান, প্রেমের বীণায় সুরের ঝংকার           তুলেছে উতল তান। কুলায় ফেরার আকুতি রহিল          ত্যজিয়া সকল মান, পুষ্পিত আনন হৃদয় কানন         করিব তোমারে দান। ************************ শক্তি শঙ্কর পাণ্ডা : ( সাহিত্যে ছদ্মনাম "মেঘদূত")  তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিমবঙ্গ নিবাসী। জন্ম ইং ১৯৫৩ সাল। জন্মস্থান নন্দী...
অঙ্কন – মধুরিমা দাশগুপ্ত

অঙ্কন – মধুরিমা দাশগুপ্ত

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
      **************************** ডঃমধুরিমা দাশগুপ্তঃ পশ্চিমবঙ্গ,ভারতের নিউটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন,যা ২০২৩ সালে এনআইআরএফ রেঙ্কিং-এ ৩য় স্থান অর্জন করেছে। ১০ বছরেরও বেশি শিক্ষকতা এবং গবেষণার অভিজ্ঞতা রয়েছে। শিক্ষাবিদ হিসাবে পুরস্কার ও স্বীকৃতি অর্জন করেছেন,এবং শিল্পী হিসাবেও স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। ২০২০ সালে সেরা প্রতিনিধিত্বমূলক শিল্পী এবং সেরা ফাইন লাইন শিল্পী পুরস্কার অর্জন করেছেন। ভারতীয় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক পরিষদ (আইসিসিআর),ভারতের বাছাইকৃত ২০০ টি শিল্পকর্মের মধ্যে মধুরিমার শিল্পকর্মও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পেন প্রিন্ট পাবলিশার্স ওনার শিল্পকর্ম প্রকাশ করেছে। মানবিক ক্ষেত্রের একজন শিক্ষাবিদ হিসাবে সবসময় বিশ্বাস করেন যে সামগ্রিক বিকাশের জন্য ও সময়োপযো...
ভোলা ময়রা – অনির্বাণ সাহা

ভোলা ময়রা – অনির্বাণ সাহা

চতুর্থ বর্ষপূর্তি
ভোলা ময়রা অনির্বাণ সাহা উনিশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলার প্রখ্যাত কবিয়ালদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ভোলা ময়রা। তিনি তৎকালীন সময়ে একজন রসিক কবিয়াল হিসেবেও যথেষ্ট পরিচিত ছিলেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল ভোলা নায়েক। তবে এখানেও রয়েছে বিতর্ক। অনেক ঐতিহাসিকের মতে তাঁর পিতৃদত্ত বা পারিবারিক নাম ছিল ভোলানাথ মোদক। ভোলা ময়রার পরিবারের নবম পুরুষ শ্রীযুক্ত তারক নাগ বা নায়েক মহাশয় জানান যে,এহেন প্রসিদ্ধ ব্যক্তির জন্মস্থান ছিল হুগলি জেলার অন্তর্গত গুপ্তিপাড়া গ্রামে। তবে অন্য একদল ঐতিহাসিকগণের মত অনুসারে তাঁর জন্মস্থান কলকাতার বাগবাজার অঞ্চলে। "কবিগানে হুগলি জেলা" বইটি থেকে জানা যায় যে ভোলা ময়রা ১৭৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল কৃপারাম। অধুনা গুপ্তিপাড়ার পুরানো বাজার অঞ্চলে ছিল তাঁর পারিবারিক মিষ্টান্নের ব্যবসা। অর্থাৎ জীবিকাগত দিক থেকে তাঁরা ছিলেন মোদক বা ময়রা। অনেক ঐতিহাসিকগণ মনে করেন তাঁ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!