Shadow

Author: Kulayefera

মিলিয়ে যাওয়া – সুবীর গুহ

মিলিয়ে যাওয়া – সুবীর গুহ

"পার্বণী ১৪৩০"
pc.. News 18 Bengali মিলিয়ে যাওয়া সুবীর গুহ সেই কবেকার ছোট্ট কথা    আজো তাকে দগ্ধ করে,সেই কবেকার মলিন স্মৃতি     হৃদয়-জোড়া, সংগোপনে।অনেক কথায় সায় ছিল না     আকাশে তার মুক্তি ছিল,অনেক কথা,কথার কথা     তবুও তার যুক্তি ছিল।হাতে তখন অনেক তুলি     রংয়ের বাহার হৃদয় জোড়া,হাতের ভাগ্য কপাল ছুঁয়ে     সবাই অশ্বমেধের ঘোড়া।  গড়ের মাঠে রোদ পোহানো     শীতের দুপুর অলস সময়,সবই এখন ছবির মতো     এখনও দুই চোখের কোনায়।গান গেয়েছি--কি গান গাব?      রবীন্দ্রগান আমার প্রিয়,চারদিকে যা ছড়িয়ে আছে     সেখান থেকেই একটু দিও। চোখের শিরায় অনেক অসুখ-     সেই কবিতাও পাঠ করেছি,আধেক ধরা পড়েছিলাম      আধেক...
রিংচিংটন – শ্রুতি দত্ত রায়

রিংচিংটন – শ্রুতি দত্ত রায়

"পার্বণী ১৪৩০"
"রিংচিংটন,,,,,,,একটি ব্যক্তিগত অনুভব"    শ্রুতি দত্ত রায় আশ্বিনের মাঝামাঝি যেই না ঢাকে কাঠি পড়ে আর আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ায় "ড্যাড্ড্যানাকুড়" বোল,অমনি আপামর বাঙালির মন হু হু করে ওঠে। মনে হয়, বারমাসের রোজনামচার একঘেয়ে টানাপোড়েনের থেকে রেহাই নিয়ে লাগাম ছাড়া কটা দিন কাটিয়ে আসি,অন্য কোথাও,অন্য কোনখানে। তা সে পাহাড়,সমুদ্র,জঙ্গল,মরুভূমি কিংবা সুমেরু মহাদেশও হতে পারে।        বাঙালি হিসেবে আমি এবং আমার পরিবারও তার ব্যতিক্রম নই। কাজেই এবারও  পুজোর রূপ-রস-গন্ধে প্রকৃতি যখন মাতোয়ারা হয়ে উঠল,আমাদের মনও দৈনন্দিন জীবনের রুটিন থেকে ছুটি নিতে চাইল। তবে এবারে বাধ সাধল ছেলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং আমার কর্তার অফিসের ইমার্জেন্সী ডিউটি। তা বলে কি মনের ইচ্ছের পায়ে শেকল পড়িয়ে ঘরবন্দী থাকা যায়? কাজেই ঠিক হল একসাথে "রথ দেখা ও কলা বেচা" দুটোই করা যাক। চাকরির...
শঙ্করদার বিয়ে – চন্দ্র কান্তি দত্ত

শঙ্করদার বিয়ে – চন্দ্র কান্তি দত্ত

"পার্বণী ১৪৩০"
PC .. Shutterstock শঙ্করদার বিয়ে চন্দ্র কান্তি দত্ত আমাদের অফিসের শঙ্করদা একটা বর্ণময় চরিত্র। সুদর্শন,সুঠাম,অধিকাংশ সময় হাস্যময় রসিক এবং কখনো সখনো প্রয়োজনের তাগিদে অত্যন্ত কঠোর। অর্থাৎ কোমলে,কঠোরে চোখে পড়ার মত একজন মানুষ। সাধারণতঃ প্রফুল্ল মনেই থাকতেন। শঙ্করদা হৃষ্টচিত্তে আছেন কিনা বোঝা যেত তাঁর কথাবার্তায়। তখন প্রায় সব কথাতেই তাঁর ভব্য রসিকতা প্রকাশ পেত।অফিসের দৈনন্দিন স্টেশনারির দায়িত্ব সামলাতেন শঙ্করদা। একদিন দেখলাম আমার পেনসিল কার্বন পেপারগুলো আর ব্যবহারযোগ্য নেই। আমি শঙ্করদাকে বললাম,"শঙ্করদা,আমার এক বাক্স কার্বন দরকার।"শঙ্করদা নিজের কাজ করতে করতে গম্ভীর মুখে বললেন,"এটা অফিস। তুমি চাইলেও আমি কারো বোনকে ডাকতে পারব না।"সবাই হাসছে। আমি হঠাৎ এরকম জবাব শুনে একটু অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলাম। যাই হোক সামলে নিয়ে বললাম,"শঙ্করদা,একবার কানের ডাক্তারের কাছে যান। কি বলছি আর কি শু...
সংসার সীমান্তে – সম্পা চক্রবর্তী

সংসার সীমান্তে – সম্পা চক্রবর্তী

"পার্বণী ১৪৩০"
ছবিঃ ব্রতী ঘোষ সংসার সীমান্তে সম্পা চক্রবর্তী       "নন্দিনী—পাগলভাই,এই বন্ধ গড়ের ভিতরে কেবল তোমার-আমার মাঝখানটাতেই একখানা আকাশ বেঁচে আছে। বাকি আর সব বোজা।    বিশু—সেই আকাশটা আছে বলেই তোমাকে গান শোনাতে পারি।                     গান তোমায় গান শোনাব,  তাইতো আমায় জাগিয়ে রাখ    ওগো ঘুমভাঙানিয়া ! বুকে চমক দিয়ে তাই তো ডাক     ওগো দুখজাগানিয়া......।"      এই পর্যন্ত পড়তেই মেয়ের ডাকে  ঘড়ির দিকে  তাকায় নন্দিনী। একটু একটু করে কখন যেন রাত বেড়ে গেছে তার খেয়ালও নেই। স্নেহের কন্ঠে বলে—"ঘুম পেয়েছে? চল খেতে দেব।" &nb...
সাদা কালো – দেবাশিস দণ্ড

সাদা কালো – দেবাশিস দণ্ড

"পার্বণী ১৪৩০"
PC: মা Samprotik Deshkal সাদা কালো দেবাশিস দণ্ড অবশেষে বাড়িটা ছেড়ে বেরিয়ে এলাম নরম খড়ের বিছানায় শুয়ে।আমার কতদিনের শখ পূরণ হল-- একটা মৃত্যু এবং একটা নরম খড়ের বিছানা।জীবদ্দশায় কতবার পুড়েছি কেউ দেখেনি।প্রেমে অপ্রেমে ব্যর্থতায়... এমনকি সাফল্যেও।মানুষ তো দাহ দেখতে আসে দহন নয়। আমি নিম্নবিত্ত হয়ে বেঁচেছিলাম মরেও তো কোন রাজা বাদশা হয়ে যাইনি।অতএব শহরের শেষ প্রান্তে কাঠকুটোর চিতায় তোলা হল।দহন অনেক সয়েছি  এবার দাহ।কুণ্ডলি পাকিয়ে বাতাসে উড়ছে সাদা ধোঁয়া কালো ধোঁয়া।জীবদ্দশায় অর্জিত  যা কিছু অমল ভালোবাসাকবিতার মতো আমার সাজানো বর্ণমালা যা কিছু শুদ্ধ স্পর্শ ---আজ সাদা ধোঁয়া হয়ে উড়ে যাচ্ছে বাসাহীন ঠিকানায়।বীভৎস প্রবঞ্চনার মুখে দাঁড়িয়েও যা যা বলতে একদিন ভয় পেয়েছি যা কিছু চিৎকার হয়ে জমেছিল বুকে--- এবং যা কিছু সঞ্চিত অবহেলার নুড়িপাথর--- আজ কালো ধোঁয়ার পাক হয়ে আকাশ ছুঁতে...
পৌষ পরব – শ্রাবণী দাশগুপ্ত

পৌষ পরব – শ্রাবণী দাশগুপ্ত

"পার্বণী ১৪৩০"
PC-DESIblitz পৌষ পরব   শ্রাবণী দাশগুপ্ত  বেশ ঠাণ্ডা পড়েছে। অফিস-ফেরত ভাসুরের ঘরে ঢুকবে কি ঢুকবে   না  করে ,শেষ পর্যন্ত ঢুকল না স্বাগতা। পরমেশই এখন বাড়ির মাথা, জ্যেষ্ঠপুরুষ। তার চেয়ে বয়সে দু-যুগের বেশী সিনিয়র। শ্বশুরের মধ্যযৌবনের, শাশুড়ির কৈশোরের সন্তান। স্বাভাবিক নিয়মে তাঁরা কেউ আর ইহজগতে নেই। দরজার মুখে দাঁড়িয়েছিল বড়-জা অসীমা, স্বাগতার মা-র চেয়ে মোটে বছর চারেকের ছোটো। প্রবীণ হলেও যথেষ্ট সবুজ মানুষ – স্বাগতা-নিখিলেশের বিয়েটা আদতে সম্বন্ধ-করা বিয়ে ছিল কিনা এ সন্দেহ তার আজও ঘোচেনি। মাঝে-মধ্যেই ভ্রূ কুঁচকে জিজ্ঞেস করে বসে,“বাচ্চু মিথ্যে বলেছিল তখন, তাই না রে?”স্বাগতা-নিখিলেশের ভার্সিটি-প্রেম, বছরদুই সিনিয়ার ছিল নিখিলেশ। ভালোমানুষ ছেলে কনভেন্ট-শিক্ষিত, কটাচোখ, মাখনের মতো রঙ, ঝকঝকে মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু। চাকরি পাওয়ার পর স্বাগতা রাজি হল, স্বাগতার উদার মা-ব...
কিচির মিচির

কিচির মিচির

"পার্বণী ১৪৩০"
GOKU Character - অর্ণ মৈত্রর অঙ্কন অর্ণ মৈত্র - বয়স ৯,মেঘমালা এডুকেশন সেন্টার,তৃতীয় বর্ষ *********************************************** সকাল বেলা হতেই গাছে এসে বসল এক প্রজাপতি, বছর শেষে এ এক অনন্য অনুভূতি - সাগর পণ্ডিত সাগর পণ্ডিত সাগর পণ্ডিত,পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র,বিবেকানন্দ মিশন,জোকা,স্কুলে ছাত্র | ফোটোগ্রাফি করার খুব সখ |********************************************* Art by Sudipta Sen সুদীপ্তা সেন। দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। লেখালেখি একটি প্রিয় বিষয়। ...
শূন্য এ বুকে পাখি মোর – রেশমী দত্ত

শূন্য এ বুকে পাখি মোর – রেশমী দত্ত

"পার্বণী ১৪৩০"
PC. Roar media শূন্য এ বুকে পাখি মোর রেশমী দত্ত  বর্ষার শেষে বাগানের আম গাছটা তে দেখছি একটা টুনটুনি পাখির আনাগোনা। রোজ মুখে করে খড়কুটো নিয়ে আসছে আর জড়ো করছে। সারাদিন এত ব্যস্ততার মধ্যে রোজ নজর করাও হয়না। হঠাৎ একদিন দেখি একটা সুন্দর বাসা বেঁধেছে টুনটুনি। ইতিমধ্যে আমার কন্যার পরীক্ষা শুরু হল,উচ্চ মাধ্যমিকের পর সব কম্পিটিটিভ পরীক্ষা দিচ্ছে ও আর আমি হয়ে পড়লাম ভীষণ ব্যস্ত,বাড়িতে ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা চললে যা হয় আরকি। এরই মধ্যে টুনটুনি ছয়টা ডিম পেড়েছে।আমার বারান্দায় দাঁড়ালে স্পষ্ট দেখা যায় পাখির বাসাটা । হঠাৎই একদিন দেখি বাসাতে আর ডিম নয়,দেখা যাচ্ছে ছোট্ট ছোট্ট ছানা। অদ্ভুত আনন্দ হল আমার,ঠিক এরকম আনন্দ হয়েছিল আঠারো বছর আগে যেদিন মামমাম এসেছিল কোল আলো করে ৷  এবার একটা অদ্ভুত অভ্যাস পেয়ে বসলো আমায়,বারে বারে বারান্দায় গিয়ে ওদের দেখা,মা টুনটুনি কি করছে ওর ছানার জন্য।ভাবলাম...
কবিতা – দীপান্বিতা দত্ত

কবিতা – দীপান্বিতা দত্ত

"পার্বণী ১৪৩০"
pc.. pexels শুধু তুমি একা নও দীপান্বিতা দত্ত  শুধু তুমি একা নও,আমিও সাথিতোমার এই পথ চলায় চলো,ভেঙে ফেলি স্বার্থের সংঘাত ঝরনার গান শুনে কাছে দাঁড়ায় ভোর পাখির কলতানে সমবেত কণ্ঠে সুর মেলায়।ভুল শব্দের সব মহিমা ছিন্ন করে একবার গিয়ে বসি বোধি বৃক্ষের ছায়ায়পাতা ঝরার আগে মেধা ও মননে চিত্ত শুদ্ধ করি নব অঙ্গীকারে।জানি শতপাঁকে হৃদয় যাবে ক্ষয়ে এই মহা দুর্যোগে থাকি সমব্যথী হয়ে।*************************************** হঠাৎ কখনো দীপান্বিতা দত্ত  পশ্চিম দিগন্তে হেমন্তের গড়িয়ে যাওয়া ক্লান্ত বিকেল জানালার ফাঁক দিয়ে যতদূর দেখা যায়সূর্যাস্তের অচেনা রঙের সাজসীমান্তে এঁকে দেয় রঙিন কোলাজ।অপরাহ্নের মায়াবী আলো আরহিমেল হাওয়াই দিনান্তের ক্লান্তি ঘিরে নেমে আসে অন্ধকারের নম্র বিষাদ জ্যোৎস্না নিভিয়ে চাঁদ অকারণে ছুটে যায় মেঘের গুহায় দৃশ্যাবলী দেখতে দেখতে হঠাৎই কেঁপে ওঠে শরীর ও মন...
ব্রডগেজ – সহেলী মুখার্জি

ব্রডগেজ – সহেলী মুখার্জি

"পার্বণী ১৪৩০"
PC . Swarajya ব্রডগেজ  সহেলী মুখার্জি  ট্রেন বগিটার জানলা গুলো আজও তাকিয়ে থাকে দূর অজানার দিকে,গল্প গাথা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আলাপ বহুরূপীদের শহুরে ছদ্মবেশে। মনের স্পর্শে একসাথে পথ চলা শেষ বিন্দুটা মিলবে না তা জানি,  তবু এই পথ তোমার আমার কথাহাজার শব্দে ব্যাকরণ কানাকানি।সহস্র মুখ রোদ পর্দায় আড়াল বৃষ্টিভেজা অবাধ্য ঝাপটারা, জোৎস্না আলোর হঠাৎ আনাগোনা কালো মেঘের আদুরে আসকারা। কত রাত জাগা দু চোখ ভরা কাজল পথের বাঁকে আঘাত টা গেছে ভুলে,ব্যস্ত কাজের জীবনের আলপথে তোমার আমার গল্পের মাস্তুলে।।************************************ সহেলী মুখার্জিঃ স্কুল শিক্ষিকা,নিবাস-ব্যান্ডেল/হুগলি,শখ-লেখা এবং গান করা...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!