Shadow

কাশবন ৩

কাশবন ৩

সিন্দ্রির দুর্গোৎসব – পল্লব চট্টোপাধ্যায়

সিন্দ্রির দুর্গোৎসব – পল্লব চট্টোপাধ্যায়

কাশবন ৩, পাকাচুলের কলমে
সিন্দ্রির দুর্গোৎসব পল্লব চট্টোপাধ্যায় সিন্দ্রি - নগরজীবন নামেই বিহার! অবশ্য এখন ঝাড়খণ্ড। কয়লা-খনি শোভিত ধানবাদ জেলার একপ্রান্তে দামোদরের তীরে একটি নিরিবিলি শহর সিন্দ্রি। যেমন সেখানে বিহারির তুলনায় বঙ্গভাষী আর কুর্মি-আদিবাসী বেশি, তেমনি সিন্দ্রি নামে শহর হলেও গাছগাছড়া, নদী, পুকুর, পার্ক, প্রচুর খেলার মাঠ- এসব নিয়ে সেখানে গ্রামের ছোঁয়াই স্পষ্ট। অন্যদিকে এশিয়ার বৃহত্তম সার কারখানা FCI, PDIL (আগে নাম ছিল P & D) নামে গবেষণা সংস্থা, ACC সিমেন্ট কারখানা আর রাজ্যের সবচেয়ে বড় আর নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ BIT- তা সত্ত্বেও বসবাসের চমৎকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। নদীর ওপারে বাংলার পুরুলিয়া জেলা, কলকাতা থেকে মাত্র ঘণ্টা পাঁচেকের রাস্তা। এমন একটা জায়গায় ধূমধাম করে দুর্গাপূজা হবে না- এটা ভাবা যায়? যুবশক্তি আর প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর ছিল এই শহর, অভাব ছিল না মাঠ-ঘাটের। তাই ছেলেমেয়েদের সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন ক...

সন্ত সুরদাস – মণি ফকির

কাশবন ৩, প্রবন্ধ
সন্ত সুরদাস  মণি ফকির পূর্বাঙ্গ 🙏 ---------------- ১৪৭৮ খ্রীষ্টাব্দে,দিল্লীর কাছে সিহি গ্রামে এক দরিদ্র সারস্বত ব্রাহ্মণের ঘরে সুরদাসের জন্ম হয়। জন্মের পরেই গ্রামের দাই মা আবিষ্কার করেন শিশুটি অন্ধ। বছর তিনেক বয়স হতে না হতেই তাঁর আসল নাম ভুলে সবাই 'সুর' বলে ডাকতে লাগল। যার মানে জন্মান্ধ। শৈশব থেকেই বঞ্চনার শিকার। তদুপরি ভাই,বন্ধুদের  উপহাস ও অত্যাচার ছিল উপরি পাওনা। প্রথাগত ও পারিবারিক শিক্ষা লাভের অধিকার তিনি পাননি। মা বাবার মমতা থেকেও বঞ্চিত থাকলেন। অথচ তাঁর দৃষ্টিহীনতার ওপর তাঁর কোনো দায় ছিলনা। আর জন্মগত অন্ধ হওয়া কোনো অপরাধ নয়। তবু তাঁর কপালে নিঠুর শাস্তিই বরাদ্দ হল। আগামী দিনে যিনি কৃষ্ণ প্রেম অকাতরে দান করবেন,তার শৈশব ছিল বড়ই প্রেমহীন। একদিন সজল নয়নে,বালক সুর বসেছিলেন বারান্দায়। ঠিক সেই সময় কানে এল ভজনের কথা ও সুর। একদল গায়ক সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। তাদের গান শুনে তাঁর আর্ত মন শান্...
তাজপুর কটন মিল – বিদ্যুৎ পাল

তাজপুর কটন মিল – বিদ্যুৎ পাল

কাশবন ৩, পাকাচুলের কলমে
তাজপুর কটন মিল বিদ্যুৎ পাল তাজপুরের বিলেতফেরত জমিদার জ্ঞানশঙ্কর কুমার স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। পরিবারের আরো কয়েক সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন তাজপুর কটন মিল। পাব্লিক লিমিটেড কোম্পানি। বাজারে শেয়ার ছাড়েন। প্রথম বছরের শেষে উৎসাহিত হয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদেরও কিছু কিছু শেয়ার দেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই অধিকাংশ এধরণের প্রয়াসের মত এই উদ্যমটিরও ভরাডুবি হয়। তাজপুর কটন মিলের পরিসর আগাছায় ভরে যায়। কয়েক দশকে সবাই ভুলে যায় উদ্যমটির কথা। শ্রমিক-কর্মচারীরা যারা আশেপাশে ঘর নিয়ে ছিল বা মিল পরিসরে ব্যারাক পেয়েছিল তারাও এক এক করে সবাই চলে যায় নতুন রোজগারের খোঁজে। কিছু কেস-মোকদ্দমা হয়েছিল সেসব কুশল ভাবে মিটিয়ে নেয় তাঁর, ততদিনে বড় হয়ে ওঠা ছেলে কৃপাশঙ্কর। কৃপাশঙ্কর স্বদেশপ্রেমে বেশি উদ্বুদ্ধ কোনদিনই  হন নি । সোজা ঠিকেদারী শুরু করেন নেপালে, হাইওয়ে মেরামত করার কাজে। ভালো মত টাকা উপার্জন...
ফেরা – দেবযানী সান্যাল

ফেরা – দেবযানী সান্যাল

কাশবন ৩
ফেরা... দেবযানী সান্যাল  বেশ খানিকটা দেরি ছিল তখনো ভোর হওয়ার, বহুদূর থেকে ভেসে আসা কাঁপা কাঁপা বিসমিল্লার সানাইয়ের করুণ সুর... প্রত্যুষের ভৈরবীতে লেগেছে কোমল - নিষাদের টান, "বাবুল মোরা নৈহার ছুটো হী যায় "। নিবিড়তম স্তব্ধতার মাঝে বাসা ছাড়ার আগে একটা -দুটো পাখির ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ। আসমানি - নীলে বিবর্ণতার কেমন ছল্ ছলে ঘষা দাগ, জল ছুঁয়ে থাকা পদ্মপাতাতেও " জানিনা যাও " গোছের সীমাহীন অভিমান....     আজই তবে তোমার যাওয়া ! প্রহর তবে তো এসেই গেল!      তোমার পথ তো অনেক অনেক দূরের! সেই যেখান থেকে ফিরে আসতে লাগে গোটা একটা বছর।  আমরা সবাই তোমায় দোরগোড়া অবধি এগিয়ে দিতে গিয়ে, যাত্রা - পথের শুভকামনায় অস্ফুট কাঁপা কাঁপা গলায় বলব,                     দুগ্গা, দুগ্গা.... আমাদেরও তো ফিরতে হবে বচ্ছরভর দিনগোনার সেই সীমাহীন পথটা ধরে ধরেই... তোমার আভাস অস্তিত্বের শুধু জানান দেবে তোমার ফেলে যাওয়...
ভার্চুয়াল – পারমিতা গাঙ্গুলী

ভার্চুয়াল – পারমিতা গাঙ্গুলী

কাশবন ৩
ভার্চুয়াল পারমিতা গাঙ্গুলী এসো এভাবেই আমরা পরস্পরকে ছুঁয়ে থাকি অদৃশ্য অবয়বহীন অথচ অমোঘ কিছু নিয়তির মত। আলোআঁধারি পথ বেয়ে হেঁটে চলি দিনরাত সত্য এবং মিথ্যার ঠিক মাঝখান দিয়ে। তোমার জানলা জুড়ে মেঘ আমার জানলা বেয়ে বৃষ্টি ওদেরও দেখা হয়না কতদিন ! পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ক্রমাগত পিছলে যাওয়া রোদ কিংবা ঈষৎ হেলে পড়া গাছের সারি.... নৈকট্য চেয়েছিল সবাই। শুধু চাওয়া পাওয়ার মাঝে এই যোজন দূরত্ব আন্দাজ করেনি কেউ। যেমন ভাবোনি তুমিও কোনদিন রাতের আকাশ জুড়ে জ্যোৎস্না নয় .... খেলা করবে দৈর্ঘ্যায়িত তরঙ্গেরা তারাই বহন করবে তোমার সুখ দুঃখ হাসি কান্না। তুমি ..আমি ...আমরা সবাই কেবল দাঁড়িয়ে দেখব কিভাবে জমানো আদর হাত ছাড়িয়ে ছুটে যায় এঁকে বেঁকে শহরের অলিগলি ফাঁকফোকর পেরিয়ে। ছুটতে ছুটতে সেও দাঁড়াবে একদিন একলা এক মাঠের মাঝখানে । খোলা আকাশের নীচে সেখানেই হয়তো আজ সত্যি বৃষ্টি...
আমার ‘ আমি ‘ – তীর্থঙ্কর সান্যাল  

আমার ‘ আমি ‘ – তীর্থঙ্কর সান্যাল  

কাশবন ৩
  আমার ' আমি ' তীর্থঙ্কর সান্যাল   রাতের অন্ধকার যখন শেষ হবে, ভোর হবে  সূর্যোদয়ের সোনালী আলোকে, মনের যত জটিলতা সরিয়ে, সরলতা  খুঁজে পাবে- মন- প্রাণ- বোধ- দেহ, আত্মার  আলিঙ্গনে। শুভ্র চিন্তা শূন্য ঘরে আনাগোনা করে, বিবিধের মাঝে যেন মিলন সাধনে, আকাশে পাখির ঝাঁক উড়ে চলে দূরে- ডানায় ডানায় স্বাধীনতার বার্তা নিয়ে। শরতের নীল মেঘ, পেঁজা তুলোর মতো ভাসে, শিউলি সুবাসে  বাজে আগমনী সুর আকাশ বাতাস মুখরিত হয় শূন্য থেকে ধীরে ধীরে পূর্ণতার পথে। আমার ' আমি 'কে আমি  খুঁজে যাই খুঁজে যাই।, অন্বেষণে,পা বাড়াই নিরুদ্দেশের পথে, সকল বাধার শিকল আর সুখ অতিক্রম শেষে। অহং ব্রহ্মাস্মি মন্ত্রে দীক্ষিত হতে।। ----------------------------------------------------- তীর্থংকর সান্যাল : ছাত্র - রামকৃষ্ণ মিশন। শিক্ষাগত যোগ্যতা: এম.কম, এম এ (সাইকোলজি) , এ সি এম এ (কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট) ও ...
দেহের ঘরে দেয় হাওয়া – জয়িতা সরকার

দেহের ঘরে দেয় হাওয়া – জয়িতা সরকার

কাশবন ৩
দেহের ঘরে দেয় হাওয়া জয়িতা সরকার দেহের ঘরে জ্বলছে আলো, হাওয়া দিলে নিভতে চায়। দম চেপে ধর, দম চেপে ধর, (ও যে)নিজের শ্বাসেই মরে যায়! যায় না দেখা কেন সেই আলো? অন্ধকারের পথে হাজার বিপদ,সব গেল সব গেল। এই বুঝি বা জাগছে দেহ, এই বুঝি মন সচেতন... কখন ঘুমাই,কখন জাগি, থাকি হায়রে অচেতন! দিল সাগরে ঘোঁট পাকিয়ে কে বিষ কে অমৃত পেল? অন্ধকারের পথে হাজার বিপদ,সব গেল সব গেল।  অমানিশিই দেখায় আলো, নইলে দেহ বইবে মন ? শুদ্ধ হয়ে খোঁজ না গিয়ে রূপেতেই অরূপরতন। দেহের মাঝেই তারটি বাঁধা। জয়িতা বলে,সুর তোলো। অন্ধকারের পথে হাজার বিপদ,সব গেল সব গেল।। --------------++++-+++++++++------------- চোর ধরার গান  জয়িতা সরকার   নিজের ঘরেই সিঁদ কেটেছি,নিজেই আমি চোর, থানায় খবর কি আর দেব! ততক্ষণে ভোর! চোর ধরা গেলনা মোটে ভাবের পথে বাধা জোটে ছয় খুনী তির ছুঁড়ছে বটে, যদিও খোলা দোর!...
উরাল নদীর কাশফুল – মোতাজিদ খুররম

উরাল নদীর কাশফুল – মোতাজিদ খুররম

কাশবন ৩, দেখবো এবার জগৎটাকে
উরাল নদীর কাশফুল  মোতাজিদ খুররম যাচ্ছি উরাল নদী দিয়ে কাস্পিয়ান সাগরের দিকে। নদীটা কাজাখস্তানে এঁকেবেঁকে গিয়ে পড়েছে কাস্পিয়ান সাগরে। সাগরে গালিয়া নামে একটা জাহাজ আছে। জাহাজটা তেল অনুসন্ধানের কাজ করছে। ঐ জাহাজটাই এবার আমার গন্তব্য। বারো-তেরো বছর ধরে আমি একটা অ্যামেরিকান এক্সপ্লোরেশন কোম্পানিতে কাজ করছি। কোম্পানির নাম ভেরিতাস জিওফিজিক্যাল। আমাদের সাইসমিক ক্রু পৃথিবীর নানা দেশে যায়,মাটির নিচে কোথায় তেলের খনি আছে খুঁজে বের করে। আমিও ঘুরে ঘুরে সেইসব দেশে গিয়ে কাজ করি। এই মুহূর্তে কাস্পিয়ান সাগরে কাজ করছে একটা দল। আমি সেখানে যাচ্ছি মাস দুয়েকের জন্য। কাজ শেষে দেশে ফিরে যাবো ছুটি কাটাতে। তারপর আবার অন্য কোথাও পাঠাবে কোম্পানি আমাকে অন্য কোনো দেশের জঙ্গলে,পাহাড়ে কিংবা মরুভূমিতে। এবারে কাস্পিয়ান যাত্রায় সঙ্গে আছে সেরিক। সে আমার কাজাখ ফ্রেন্ড,ফিলসফার এবংগাইড। একটু সকাল সকাল রওনা দেবো ভেবেছিলাম। ক্য...
ইতিহাসের কোচ হাজো ও মীর জুমলা – সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়

ইতিহাসের কোচ হাজো ও মীর জুমলা – সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়

কাশবন ৩, দেখবো এবার জগৎটাকে
ইতিহাসের কোচ হাজো ও মীর জুমলা সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায় ৬০০-৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ কামরূপের রাজা ভাস্কর বর্মণের জীবনকাল । গৌড়েশ্বর শশাঙ্কের সঙ্গে যুদ্ধে কামরূপের বাহিনী পরাজিত হয় এবং ভাস্কর বর্মণ ও তাঁর দাদা সুপ্রতিষ্ঠিত বর্মণ বন্দী হন । ইতিহাস নিজের খেয়ালে এগিয়ে চলে,তাঁরা মুক্তি পান। বাবা এবং দাদার অকাল মৃত্যুর পর কামরূপের সিংহাসনে বসেন কুমার ভাস্কর বর্মণ। প্রায় কাছাকাছি সময়ে থানেশ্বর রাজ রাজ্যবর্ধন শশাঙ্কের হাতে নিহত হন এবং থানেশ্বরের রাজা হন রাজ্যবর্ধনের ভাই হর্ষবর্ধন। টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি,উত্তর ও পূর্ব ভারতে যুদ্ধের দামামা। ভাস্কর বর্মণ,  হর্ষবর্ধনের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি করেন এবং দু'জনের একই  শত্রু ছিলেন গৌড়েশ্বর শশাঙ্ক। ভাস্কর বর্মণ,হর্ষবর্ধন,শশাঙ্ক সকলেই হিন্দু (শৈব) ছিলেন,পরবর্তী কালে হর্ষবর্ধন বৌদ্ধ ধর্মের অনুরাগী হয়ে পড়েন। রাজা হর্ষবর্ধনের রাজধানী কনৌজ,গৌড়েশ্বর শশাঙ্কের রা...
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার শোভাযাত্রার ইতিকথা – অনির্বাণ সাহা 

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার শোভাযাত্রার ইতিকথা – অনির্বাণ সাহা 

আলোকপাত, কাশবন ৩
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার শোভাযাত্রার ইতিকথা অনির্বাণ সাহা  সরস্বতী নদীর পূর্বে ও ভাগীরথী নদীর পশ্চিমে অর্থাৎ সরস্বতী ও ভাগীরথী নদীর মধ্যভাগে অবস্থিত এই চন্দননগর। মনে করা হয় ভাগীরথী বা গঙ্গার চাঁদের মত বাঁকের থেকেই এই শহরের নাম হয়ে উঠেছে চন্দননগর। এই শহরের ইতিহাস বহু প্রাচীনকাল থেকেই যথেষ্ট সমৃদ্ধ। বহু শক্তি এই শহরে তাদের শাসনকালে আধিপত্য চালিয়েছে, শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ বছর এই শহর ছিল ফরাসিদের অধীনে। ফরাসিদের অধীনে থাকাকালীন সময়ে ফরাসিদের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান ও রীতিনীতির মধ্যেও চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজা ছিল বিশেষভাবে আকর্ষণীয় ও উল্লেখ্য। চন্দননগর শহরে জগদ্ধাত্রী পূজার প্রচলনের  সঠিক তথ্য আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায় তা কিছুটা গৃহীত সত্য এবং কিছুটা লোকমুখে প্রচলিত কাহিনী। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো চতুর্দশ শতকে মহোমহোপাধ্যায় শূলপাণি লিখিত "ব্রতকালবিবেক" গ্রন্থে, পঞ্চদশ-...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!