Shadow

Author: Kulayefera

ফুলেল ফাগুনে – গ্রিন্ডেলিয়া ভট্টাচার্য্য

ফুলেল ফাগুনে – গ্রিন্ডেলিয়া ভট্টাচার্য্য

আঁকিবুকি
ফুলেল ফাগুনে গ্রিন্ডেলিয়া ভট্টাচার্য্য শিল্পী গ্রিন্ডেলিয়া ভট্টাচার্য্যঃ গ্রিন্ডেলিয়া পেশায় একজন শিক্ষিকা এবং স্বশিক্ষিত শিল্পী। চিত্রকলায় শৌখিনতা তার সৃজনশীল কাজের একটি দিক। প্রকৃতির প্রতি অনুরাগ তার চিত্রকলায় ফিরে আসে বারবার। অভিনয়ের সাথে ইনি একজন সমাজসেবিকাও। বিভিন্ন সংস্থা যেমন “হিতৈষিণী”,“দ্য ক্যান্সার ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া”, “আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি”র সাথে ইনি যুক্ত রয়েছেন। “স্কোপ” একটি সামাজিক সংস্কৃতি সংস্থা। এই সংস্থার সভাপতির পদে থাকাকালীন নিম্নমধ্যবিত্ত শিশুদের এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য কলকাতা পুলিশের সঙ্গে একসাথে কাজ করেছেন। বিভিন্ন পত্রিকা যেমন “দ্য টেলিগ্রাফ”, “ফেমিনা”য় এনার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে থিয়েটার, স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং বিভিন্ন কলাশিল্প নিয়ে কাজ করছেন।...
প্রতীক্ষা – সব্যসাচী  দাশগুপ্ত

প্রতীক্ষা – সব্যসাচী দাশগুপ্ত

আঁকিবুকি
প্রতীক্ষা সব্যসাচী দাশগুপ্ত শিল্পীঃ সব্যসাচী দাশগুপ্ত সব্যসাচী দাশগুপ্ত মহাশয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করার পর, দীর্ঘ সময় ধরে একটি বহুজাতিক সংস্থায় সাফল্যের সঙ্গে কর্মজীবন কাটিয়ে বর্তমানে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত।  লেখালেখি ও ছবি আঁকা বরাবরই তার মন টানে। তাই এই অবসর জীবনে আবার নতুন করে  সৃষ্টির উন্মাদনায় নিজেকে ব্যাপ্ত করেছেন।...
জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস – বিজিত কুমার রায়

জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস – বিজিত কুমার রায়

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস বিজিত কুমার রায় ভারতের জাতীয় পতাকার প্রবর্তন হয়েছিল ১৮৮৩ সালে। সেই সময়ের পতাকাটি ছিল সাদা বর্গাকার, মাঝে ছিল একটি রক্তিম লাল সূর্য্য। শিরীষ চন্দ্র বসু মহাশয় এই পতাকার প্রস্তাব করেন। অনুশীলন সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার প্রমথনাথ মিত্র, যিনি ১৯০৫ সালের ৭ই আগস্ট জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করেছিলেন। পতাকার রং ছিল ত্রিবর্ণ। উপরে লাল, মাঝে হলুদ, নীচে সবুজ। লালের উপর আঁকা অষ্টবৃন্তের আটটি কুসুম। হলুদের ওপর লেখা সংস্কৃতে বন্দে মাতরম। সবুজের ওপর সূর্য ও অর্ধ চন্দ্র। এরপর ওই সময়েই চার বিভিন্ন পতাকার প্রস্তাব হয় মেদিনীপুরের স্বদেশী আন্দোলনকারিদের থেকে। ১৯০৬ সালে বিপ্লবী সংগঠন, যুগান্তর সমিতি পার্টি কংগ্রেসে একটি পতাকার প্রস্তাব করেছিলেন। পতাকাটি ছিল লাল রঙের এবং তলোয়ার ও ত্রিশূল গুনিতক আকারে অবস্থান করছে। উপরে চাঁদ ও নীচে চক্র। ঋষি অরবিন্দের ভাই বারিন্দ্র ও স্বামী বিবেকা...
স্বাধীনতা দিবসে প্রাজ্ঞ প্রবীণদের স্মৃতি রোমন্থন

স্বাধীনতা দিবসে প্রাজ্ঞ প্রবীণদের স্মৃতি রোমন্থন

ঘটমান বর্তমান, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
স্বাধীনতা দিবসে প্রাজ্ঞ প্রবীণদের স্মৃতি রোমন্থন  নিখিলরঞ্জন বিশ্বাসের স্মৃতি রোমন্থন ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের এই শুভ দিনটি প্রতিবছর ফিরে ফিরে আসে। যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে আমরা এই দিনটি পালন করি। সমস্ত সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই দিনটি পালিত হয় সসম্মানে। দিনটি অনেকের কাছে শুভবার্তা বহন করে আনলেও, আমাদের মতো ভিটেমাটিহারাদের কাছে তা ছিল চরম বেদনাদায়ক। এই দিনে আমরা জানতে পেরেছিলাম  বিভক্ত হয়ে গেছে ভারতবর্ষ। আমাদের আজন্মকালের বাসভূমি ত্যাগ করতে হবে, কারণ পূর্বতন নদীয়া জেলার আলমডাঙা থানার চুয়াডাঙা সাবডিভিশনের মুন্সীগঞ্জের জেহালা গ্রামে থাকা আর সম্ভব নয়।  অল্পদিনের মধ্যেই কিছু মানুষের অত্যাচারে সর্বহারা নিঃস্ব হয়ে আমরা ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। লাখ লাখ হতভাগ্য মানুষের তখন একটাই গন্তব্যস্থল ভারত। সর্বস্বান্ত হয়ে এক অজানা অচেনা অন্ধকার ও অনিশ্চয়তার পথে যাত্রা। সেকি করুণ অবস্থা...
আলোর আশায় – দেবদত্ত বিশ্বাস

আলোর আশায় – দেবদত্ত বিশ্বাস

ঘটমান বর্তমান, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
আলোর আশায় দেবদত্ত বিশ্বাস “স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় রে কে বাঁচিতে চায়” - গত শতকের প্রথমার্ধে উচ্চারিত এই কথা গুলোর অর্থ খুঁজতে গেলে আজ হয়রান হয়ে যেতে হয়। ‘স্বরাজ আমাদের জন্মগত অধিকার’ - মানুষের যখন কথাবার্তায়, চালচলনে, জীবনযাত্রায়, খাদ্যাভ্যাসে, বা কোনো কিছুতেই অধিকার থাকেনা, তখনই একমাত্র অন্তর থেকে এই আর্তনাদ উচ্চারিত হতে পারে। জলের ভিতরে থেকে মাছ কি করে জলের অভাব বুঝবে? এপ্রিল মাস থেকে সরকার বাহাদুর বলেছেন বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। এই আদেশ শুনেই পরের দিন ততধিক মানুষ বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন। এরপর থেকে আজ পনেরই আগস্ট অবধি যতো দিন এগিয়েছে , এক অদৃশ্য পরাধীনতার সাঁড়াশি যেন আমাদের সকলের গলা চেপে ধরেছে। তিয়াত্তর বছরের স্বাধীন দেশে এটুকু পরাধীনতা (নিজেদের স্বার্থে)র স্বাদও আমাদের তিক্ত লাগছে । আসলে সাতচল্লিশে প্রায় দুশো বছরের পরাধীনতা থেকে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার পর থেকেই স্বাধীনতাকে আমরা...
মিষ্টি শুক্তো – মানসী ব্যানার্জ্জী

মিষ্টি শুক্তো – মানসী ব্যানার্জ্জী

ঠাম্মি-ইয়াম্মি
মিষ্টি শুক্তো মানসী ব্যানার্জ্জী উপকরণঃ ১) মিষ্টি কুমড়ো ৫০০ গ্রাম। ২) বেগুন (বড়) ১টা। ৩) আলু (মাঝারি মাপের) ৫টা। ৪) কাঁঠাল ৫০০ গ্রাম। ৫) সিম ২৫০ গ্রাম। ৬) সজনে ডাঁটা ৫০০ গ্রাম। ৭) পটল ৭-৮টা। ৮) টমেটো ২টো। ৯) পাঁচফোড়ন চা চামচের ২চামচ। ১০) তেজপাতা ৪টে। ১১) শুকনো লঙ্কা ৫। ১২) কালো সরষে চা চামচের ৭ চামচ। ১৩) আটা চা চামচের ৬ চামচ। ১৪) আখের গুড় ১৫০ গ্রাম। প্রনালীঃ প্রথমে কালো সরষে গুঁড়ো করে রাখতে হবে। এবার সজনে ডাঁটা ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে জলে লবণ ও হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে রাখুন। কাঁঠালের পিঠ ছোট ছোট করে কেটে লবণ ও হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে রাখুন। মিষ্টি কুমড়ো ডুমো ডুমো করে কাটুন। বেগুন মাঝারি মাপে কাটুন। আলু খোসা সহ লম্বা লম্বা করে কাটুন। পটল লম্বালম্বি আধখানা করে কেটে তারপর ছোট ছোট করে কাটুন। সিম ছোট ছোট করে কাটুন। টমেটো কুচিয়ে রাখুন। এবার কড়াইতে পরিমান মত সরষের তেল গরম করত...
বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (দ্বিতীয় ভাগ) – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (দ্বিতীয় ভাগ) – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

ধারাবাহিক
বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (দ্বিতীয় ভাগ) রঞ্জন চক্রবর্ত্তী বিদ্যাসাগরের শিক্ষা বিস্তারের নীতিতে নারী সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বেথুন ও বিদ্যাসাগরের মিলিত প্রচেষ্টায় ১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দু ফিমেল স্কুল (পরবর্তীকালে বেথুন স্কুল) স্থাপিত হয়। বাংলায় তখনও স্ত্রীশিক্ষা সমাজের অনুমোদন পায় নি। কিন্তু অভিজাত ও ভদ্রঘরের মেয়েরা বিদ্যালয়ে না এলে স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারের মূল উদ্দেশ্য সফল হবে না। এই অবস্থায় বিদ্যাসাগর শাস্ত্রবাক্য উদ্ধার করে রক্ষণশীলতার প্রাচীর ভাঙলেন। বিদ্যাসাগর ও মদনমোহন তর্কালঙ্কারের চেষ্টায় ঐ বিদ্যালয়ে মদনমোহনের দুই কন্যা ছাড়াও রামগোপাল ঘোষ, ঈশানচন্দ্র বসু, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, তারানাথ তর্কবাচস্পতি, নীলকমল বন্দোপাধ্যায়, হরপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কন্যারাও যোগ দিয়েছিল। ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দে বেথুনের মৃত্যুর পর বিদ্যাসাগরের চ...
জ্যোতির্লিঙ্গ কেদারনাথ – বিজিত কুমার রায়

জ্যোতির্লিঙ্গ কেদারনাথ – বিজিত কুমার রায়

দেখবো এবার জগৎটাকে
জ্যোতির্লিঙ্গ কেদারনাথ বিজিত কুমার রায় "ঐ যে দেখা যায় কেদারনাথধাম --- মন্দাকিনীর ওপারে যেথা শান্ত হইবে চরণ যুগল -- তৃপ্ত হবে মন প্রাণ দীর্ঘ বাসনা পূরণ হইবে -- জপ জপ শিব নাম । আমাদের স্বর্গারোহন শুরু হয়েছিল গৌরীকুন্ড থেকে। তার আগের পথটুকু এসেছিলাম হরিদ্বার থেকে বাসে কলকাতার একটি ট্র্যাভেলস এর সাথে। তারপর গৌরীকুণ্ডে রাত্রিবাস করে পরদিন রওয়ানা বাবার ধামের উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ ১৪ কিমি পাহাড়ি রাস্তা ভেঙে ১১৭৫৩ ফুট ওপরে বাবার মন্দিরে উঠতে হবে। রাস্তাও সেই ভাবে সুষ্ঠু ভাবে বাঁধানো নয়। অবশ্য আমরা গিয়েছিলাম ২০০৯ সালে। এখন তো সেই রাস্তাই আর নেই, আরো নেই সেই গৌরীকুন্ডের জনপদ। ঐ যে বলেনা তুমি যাও বঙ্গে, তোমার কপাল যায় সঙ্গে। আমাদের তাই দশা হলো। ভোরবেলা আগের দিন ঠিক করে রাখা পনি পাওয়া গেলোনা কারণ নাকি ঘোড়ার মড়ক লেগেছে। তাই কিছুটা চৌদোলাতে আর কিছুটা পদব্রজে যাত্রা। যাত্রার দীর্ঘ বিবরণ দেওয়ার ইচ্ছা নে...
জীবন্মুক্তির অজানা তথ্য – অমৃতা লাহিড়ী

জীবন্মুক্তির অজানা তথ্য – অমৃতা লাহিড়ী

বোধিবৃক্ষ
জীবন্মুক্তির অজানা তথ্য অমৃতা লাহিড়ী হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা সম্পর্কে আমরা সকলে অবহিত। কিন্তু গীতার অনেকগুলো ভাগ আছে এবং সেই ভাগ সম্বন্ধে আমরা অনেকেই অবহিত নই। আমি যে গীতার ভাগ নিয়ে উপস্থিত হয়েছি, তার নাম "শিবগীতা"। এই গীতা হয়তো অনেকেরই অজানা। সেই অজানাকে জানার জন্য আমার আলোচ্য বিষয় "শিবগীতা"।  সনাতন হিন্দু ধর্মে বিয়াল্লিশ রকমের গীতা আছে। গীতা বলতে আমরা যা বুঝি তা হ’ল কোন ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক জ্ঞান যা গীত বা সুরারোপ করে গুরু শিষ্যকে প্রদান করেন। বাস্তব জীবনে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে পন্ডিত ব্যক্তি গীতা পাঠের মাধ্যমে সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে থাকেন। এই বিয়াল্লিশ রকমের গীতার অধিকাংশ মহাভারত থেকে সংকলিত।  ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ নিঃসৃত ভগবদ্গীতা, আর শিব এর মুখারবিন্দ থেকে নিঃসৃত শিবগীতা। মহাভারতের ভীষ্মপর্ব থেকে উৎপত্তি ভগবদ্গীতা, আঠারো অধ্যায় সমন্বিত। এই ভাবে পদ্মপুরাণ...
গন্ধপুরাণ – হিমাশিস ভট্টাচার্য্য

গন্ধপুরাণ – হিমাশিস ভট্টাচার্য্য

গল্প
                                                                                                        গন্ধপুরাণ                                                                                                    হিমাশিস ভট্টাচার্য্য শেষ সময়ে বাবা মাঝে মাঝে অদ্ভুত আচরণ করতেন। শরীর খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। থাকতেন আধো ঘুমে, আধো চেতনে। কখনো অতি সক্রিয় হয়ে বলতে শুরু করতেন – ঘরের সোফা চেয়ার গুলো খালি করে দাও। দেখছ না কারা এসেছেন? তাঁদের বসতে দাও। বাবার কথা শুনে মা আশেপাশে তাকিয়ে দেখতেন কেউ তো নেই। বাবা রেগে যেতেন। বলতেন - বাবা, মা, কাকা, ঠাকুরদা, জ্যাঠামশাই সবাই এসেছেন একসঙ্গে। তাঁদের বসতে দাও। মা হয়তো ধোওয়া কাপড়গুলো ছাদ থেকে এনে সোফায় রেখেছেন, পরে গুছিয়ে রাখবেন। বাবার কথা শুনে তাড়াতাড়ি সব সরিয়ে ফেলতেন। তখন বাবা ঠাণ্ডা হয়ে একা একা যেন কার সঙ্গে কথা বলতেন। মা ভয় পেয়ে আমাদের সবাইকে ডেকে নিয়ে আসত...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!