Shadow

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ

স্বাধীনোত্তর ভারত – মেরী খাতুন

স্বাধীনোত্তর ভারত – মেরী খাতুন

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
"স্বাধীনোত্তর ভারত" মেরী খাতুন মানুষের জীবনে স্বাধীনতার থেকে বড় কিছু নেই।  দেশ স্বাধীন হলেই মানুষের সর্বাধিক উন্নতির পথ প্রশস্ত হয়ে যায়। কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় তাই বলেছেন----- স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়। দাসত্ব শৃংখল বল কে পরিবে পায় হে, কে পরিবে পায়?" পুরাতনের বিদায়ের মধ্যে দিয়েই ঘটে নবীনের আগমন। পুরনো শতকের সুখ-দুঃখ, জয়-পরাজয়, হাসি-কান্না ভুলে স্বাগত জানাতে হবে নতুন শতককে। নতুন শতক নতুন আশা-উদ্দীপনায়, প্রাণ-প্রাচুর্যে মানুষের হৃদয় ভরে তুলবে,  নাকি বিংশ শতাব্দীর চেয়েও হতাশার অন্ধকারে ভারতবাসীকে নিক্ষিপ্ত করবে?-- এটাই জিজ্ঞাসা। ভারতবর্ষের ইতিহাসে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতবাসীর যা-কিছু আশা-আকাঙ্ক্ষা,সংশয় সবই এই প্রথমার্ধ জুড়ে। বিভিন্ন ঘটনায় পূর্ণ এই ভারতবাসীর মনে গভীর দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছে। এই শতকের সূচনাতেই লর্ড কার্জনের "বঙ্গভঙ্গ আইন" ...
অঙ্কনঃ স্বাধীনতার ৭৫ বছর – সঙ্কল্প মাঝি

অঙ্কনঃ স্বাধীনতার ৭৫ বছর – সঙ্কল্প মাঝি

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
স্বাধীনতার ৭৫ বছর শিল্পীঃ সঙ্কল্প মাঝি   সঙ্কল্প, কোন্নগর হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাড়ি রিষড়ায়। সঙ্কল্পর সখ অঙ্কন এবং ফটো ও ভিডিও এডিটিং।      
স্বাধীনতা : প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ৭৫ বছর – প্র ত্যু ষ  সে ন গু প্ত

স্বাধীনতা : প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ৭৫ বছর – প্র ত্যু ষ  সে ন গু প্ত

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
১৯৪৭-২০২২ স্বাধীনতা : প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ৭৫ বছর প্র ত্যু ষ  সে ন গু প্ত   ইংরেজ ঔপনিবেশিকতার শৃঙ্খল মুক্ত হয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে পঁচাত্তর বছর আগে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট।ছিয়াত্তরতম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে একটু পিছন ফিরে তাকাতে ইচ্ছে করছে। স্বাধীনতা দিবসের সেই সন্ধিক্ষণে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য আমার হয়নি।যা জেনেছি, শুনেছি পিতামাতা ও প্রবীণদের কাছ থেকে, বিভিন্ন পুস্তক পাঠ করে,বিদ্যালয়,মহাবিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ থেকে এবং সর্বোপরি পত্রপত্রিকার সংবাদ থেকে।স্বাধীনতার দশ বছর পর এক ভারতীয় নাগরিক হিসেবে জন্মগ্রহণ আমার জীবনের সর্বাপেক্ষা গর্বের বিষয়। কিন্ত এর ঠিক দুশো বছর আগে,২৩ জুন,১৭৫৭ সালে একটি বিদেশী বণিকদের কোম্পানি দেশের কিছু  ক্ষমতালোভী বেইমানদের চক্রান্তে সুবে বাঙলার নবাব সিরাজদৌল্লাকে হারিয়ে হিংস্র ভাবে একটি দেশের সম্পদ ও সার্বভৌমত্বেকে লুঠ করে। দখল নেয় কলকাতার।সূত্রপাত ...
স্বাধীনতা পঁচাত্তর – পারমিতা গাঙ্গুলী

স্বাধীনতা পঁচাত্তর – পারমিতা গাঙ্গুলী

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
স্বাধীনতা পঁচাত্তর পারমিতা গাঙ্গুলী স্বাধীনতা মানে মুক্ত বাতাস  মুক্ত চিন্তাধারা স্বাধীনতা মানে বিরুদ্ধ মতও সজোরে বলতে পারা। স্বাধীনতা মানে আমার ফসলে আমিই হকদার স্বাধীনতা মানে শবরীমালায় সমান অধিকার। স্বাধীনতা মানে আমার ধর্ম আমার একান্ততা স্বাধীনতা মানে রাত বারোটায় নির্ভয়ে বাসে ওঠা। স্বাধীনতা মানে ফিরে ফিরে দেখা পরাধীনতার স্মৃতি স্বাধীনতা মানে শত শহীদের আত্মত্যাগের গীতি। স্বাধীনতা মানে দিনবদলের স্বপ্ন অন্তহীন স্বাধীনতা মানে প্রতিটি শিশুর হাসিমুখ অমলিন। স্বাধীনতা মানে দোকানে দোকানে ছাড়ের পশরা নয় স্বাধীনতা মানে অমূল্য এক সম্পদ অক্ষয়। আজাদী উৎসব দিল পঁচাত্তরে পা উৎসব শেষে সমস্ত রঙ ফুরিয়ে ফেলোনা স্বাধীনতা থাক.... জীবনে যাপনে নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে স্বাধীনতা থাক.... মায়ের মতোই অবিচল আশ্বাসে। ************************************        ...
স্বাধীনতা – ব্রতী ঘোষ

স্বাধীনতা – ব্রতী ঘোষ

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
স্বাধীনতা ব্রতী ঘোষ ক্লাস ফাইভের শ্রেয়াংশের আজ এই প্রথম স্কুলে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আসা। গত  দু বছরে তো স্কুলে এ সব হয়নি  ৷ "লেফ্ট রাইট লেফ্ট" প্যারেড করতে করতে ওর সারা শরীরের রক্ত যেন গরম হয়ে গেল ৷ আর তখনই ও ঠিক করে ফেললো বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে  যোগ দেবে  ৷ কিন্তু ওর যে মাঝে মাঝেই চোখে জল এসে যায় - বিশেষ করে বাবা ওকে বকলে, মা কাঁদলে,লক্ষ্মী মাসির ছেলে বাপীকে পাড়ার চায়ের দোকানে বাসন মাজতে দেখলে - এই সব আর কি ! আবার যেমন আজকে ক্লাস নাইনের দাদারা যখন, "ভায়ে মায়ে এত স্নেহ - কোথায় গেলে পাবে  কেহ, ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি, আমার এই দেশেতে জন্ম যেন,এই দেশেতেই মরি" - গাইছিল তখনও ওর চোখে জল এসে গেছিল ৷  যখন ও বড় হয়ে যুদ্ধ করতে যাবে তখন শত্রুদের গুলি চালাতে গেলে যদি ওর চোখে জল এসে যায় - তাহলে কি হবে ? না ! না! ও বড় হয়ে গেলে ওর চোখে আর জল আসবেই না ৷ এই সব ভাবতে ভাবতে বাড়ি ফিরেই...
দেশমাতা – প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত

দেশমাতা – প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
দেশমাতা প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত মাথায় ভরা উকুন শনের দড়ির মতন চুলে খড়ি ওঠা সরু সরু হাত দুটি লিকলিকে সতর্ক তার দু'পা আধেক ডুবে দিঘির জলে চক্ষু দুটি নিবদ্ধ ওই শাপলা ফুলের দিকে। কাল দিনমান অভূক্ত সে রাত নিয়েছে ক্ষুধা কালই কেন,জীবনজুড়ে এমনই তার রাতে বুভুক্ষা, বা পশু এসে শোষে দেহের সুধা, শরীরটা হয় ছিন্নভিন্ন জানোয়ারের দাঁতে। এইদুপুরে আকাশকোণ আলোয় আছে মেতে দিঘির পাড়ে ন্যাংটো শিশু পা নাচিয়ে খেলে শালুককুঁড়ি দিদির হাতে দেখেই আনন্দেতে আজকে যদি একটুখানি খাবার কিছু মেলে। গাল দুখানি কোটরগত পিঁচুটি তিন চোখে শুকনো ঠোঁট,চোখের নীচে জলের ওড়াউড়ি হেঁটমস্তক যৌবন মুখ লুকায় নোংরা নোখে দেশমাতা দুর্গা যেন আঠারোতেই বুড়ি।। ************************************************** প্র ত্যু ষ সে ন গু প্ত পরিচিতিঃ সরকারী বেসরকারী মিলিয়ে নানা রকম চাকরী করে এখন বেলাশেষে কলম ধরেছেন। প্রথম চাকরী এক ওষুধ কোম্পানী...
স্বাধীনতা দিবস – আশিস কুমার সরকার

স্বাধীনতা দিবস – আশিস কুমার সরকার

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
স্বাধীনতা দিবস আশিস কুমার সরকার মাত্র কয়েকদিন আগেই ফিরে এসেছিল আরও একটি ১৫ই আগস্ট, আরও একটি স্বাধীনতা দিবস। না, ১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্টের ব্রাহ্ম  মুহূর্তে বা উষালগ্নে পাঁজিপুঁথি ঘেঁটে বৈদিক মতে স্বাধীনতার শুভলগ্ন স্থির হয়নি। ১৪ই আগস্টের মধ্যযামের ঠিক পরেই, ইংরেজি মতে ১৫ইর শুরুতে, রেডিওতে গমগম করে ঘোষিত হয়েছিল স্বাধীনতার বার্তা! বেজে উঠেছিল অসংখ্য মঙ্গল শঙখ, ঘরে ঘরে-বাতায়নে বাতায়নে জ্বলেছিল প্রদীপ। নগরীর পর নগরী সেজে উঠেছিল উজ্জ্বল আলোক সজ্জায়।  তেরঙ্গা ঝাণ্ডা হাতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নেমেছিল রাস্তায় রাস্তায়। কিন্তু ক'লকাতা মহানগরীতে উৎসব ছিল কিছুটা স্তিমিত। এর কিছুদিন আগের (এবং তার অব্যবহিত পরেরও) জিন্নার ডাকের "ডাইরেক্ট অ্যাকশন"- এর দাঙ্গার ফলে মহানগরীর রাস্তায় রাস্তায় বয়ে যাওয়া রক্তেস্রোতের বিভীষিকা মানুষজন তখনও ভুলতে পারেন নি! ...এলো স্বাধীনতা !! কিন্তু কি ভাবে এলো, কেমন হ'ল সে স্বাধীনতা...
জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস – বিজিত কুমার রায়

জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস – বিজিত কুমার রায়

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস বিজিত কুমার রায় ভারতের জাতীয় পতাকার প্রবর্তন হয়েছিল ১৮৮৩ সালে। সেই সময়ের পতাকাটি ছিল সাদা বর্গাকার, মাঝে ছিল একটি রক্তিম লাল সূর্য্য। শিরীষ চন্দ্র বসু মহাশয় এই পতাকার প্রস্তাব করেন। অনুশীলন সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার প্রমথনাথ মিত্র, যিনি ১৯০৫ সালের ৭ই আগস্ট জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করেছিলেন। পতাকার রং ছিল ত্রিবর্ণ। উপরে লাল, মাঝে হলুদ, নীচে সবুজ। লালের উপর আঁকা অষ্টবৃন্তের আটটি কুসুম। হলুদের ওপর লেখা সংস্কৃতে বন্দে মাতরম। সবুজের ওপর সূর্য ও অর্ধ চন্দ্র। এরপর ওই সময়েই চার বিভিন্ন পতাকার প্রস্তাব হয় মেদিনীপুরের স্বদেশী আন্দোলনকারিদের থেকে। ১৯০৬ সালে বিপ্লবী সংগঠন, যুগান্তর সমিতি পার্টি কংগ্রেসে একটি পতাকার প্রস্তাব করেছিলেন। পতাকাটি ছিল লাল রঙের এবং তলোয়ার ও ত্রিশূল গুনিতক আকারে অবস্থান করছে। উপরে চাঁদ ও নীচে চক্র। ঋষি অরবিন্দের ভাই বারিন্দ্র ও স্বামী বিবেকা...
স্বাধীনতা দিবসে প্রাজ্ঞ প্রবীণদের স্মৃতি রোমন্থন

স্বাধীনতা দিবসে প্রাজ্ঞ প্রবীণদের স্মৃতি রোমন্থন

ঘটমান বর্তমান, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
স্বাধীনতা দিবসে প্রাজ্ঞ প্রবীণদের স্মৃতি রোমন্থন  নিখিলরঞ্জন বিশ্বাসের স্মৃতি রোমন্থন ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের এই শুভ দিনটি প্রতিবছর ফিরে ফিরে আসে। যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে আমরা এই দিনটি পালন করি। সমস্ত সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই দিনটি পালিত হয় সসম্মানে। দিনটি অনেকের কাছে শুভবার্তা বহন করে আনলেও, আমাদের মতো ভিটেমাটিহারাদের কাছে তা ছিল চরম বেদনাদায়ক। এই দিনে আমরা জানতে পেরেছিলাম  বিভক্ত হয়ে গেছে ভারতবর্ষ। আমাদের আজন্মকালের বাসভূমি ত্যাগ করতে হবে, কারণ পূর্বতন নদীয়া জেলার আলমডাঙা থানার চুয়াডাঙা সাবডিভিশনের মুন্সীগঞ্জের জেহালা গ্রামে থাকা আর সম্ভব নয়।  অল্পদিনের মধ্যেই কিছু মানুষের অত্যাচারে সর্বহারা নিঃস্ব হয়ে আমরা ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। লাখ লাখ হতভাগ্য মানুষের তখন একটাই গন্তব্যস্থল ভারত। সর্বস্বান্ত হয়ে এক অজানা অচেনা অন্ধকার ও অনিশ্চয়তার পথে যাত্রা। সেকি করুণ অবস্থা...
আলোর আশায় – দেবদত্ত বিশ্বাস

আলোর আশায় – দেবদত্ত বিশ্বাস

ঘটমান বর্তমান, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সপ্তাহ
আলোর আশায় দেবদত্ত বিশ্বাস “স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় রে কে বাঁচিতে চায়” - গত শতকের প্রথমার্ধে উচ্চারিত এই কথা গুলোর অর্থ খুঁজতে গেলে আজ হয়রান হয়ে যেতে হয়। ‘স্বরাজ আমাদের জন্মগত অধিকার’ - মানুষের যখন কথাবার্তায়, চালচলনে, জীবনযাত্রায়, খাদ্যাভ্যাসে, বা কোনো কিছুতেই অধিকার থাকেনা, তখনই একমাত্র অন্তর থেকে এই আর্তনাদ উচ্চারিত হতে পারে। জলের ভিতরে থেকে মাছ কি করে জলের অভাব বুঝবে? এপ্রিল মাস থেকে সরকার বাহাদুর বলেছেন বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। এই আদেশ শুনেই পরের দিন ততধিক মানুষ বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন। এরপর থেকে আজ পনেরই আগস্ট অবধি যতো দিন এগিয়েছে , এক অদৃশ্য পরাধীনতার সাঁড়াশি যেন আমাদের সকলের গলা চেপে ধরেছে। তিয়াত্তর বছরের স্বাধীন দেশে এটুকু পরাধীনতা (নিজেদের স্বার্থে)র স্বাদও আমাদের তিক্ত লাগছে । আসলে সাতচল্লিশে প্রায় দুশো বছরের পরাধীনতা থেকে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার পর থেকেই স্বাধীনতাকে আমরা...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!