Shadow

ধারাবাহিক

পপামাসীর তৃতীয় অভিযানঃ জা লে র  জা লে – প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত

কাশবন ২, ধারাবাহিক
  পপামাসীর তৃতীয় অভিযানঃ জা লে র  জা লে প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত ড্যাস রে সাহেব মুচকি হেসে বললেন,এতদিন ধরে সাউথ ক্যালকাটা ক্লাবে আসছি,এমনটা হয়নি কখনো। রথ দেখা আর কলাবেচা,এদেশে এই চান্স খুব কম, প্রাডোট্ সেন মাথানেড়ে বললেন,সে আর বলতে?   ভবানীপুরের এই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের সান্ধ্য আড্ডা যেন তারকা সম্মেলন। রথ্ অ্যান্ড কোলম্যানের জিএম মার্কেটিং হ্যার্ডন ড্যাস্ রে ওরফে এইচ ডি রে আজ বেশ মুডে। গতকাল রাতে ইউএআইয়ের প্রায় এক কোটি ডলারের কন্ট্রাক্ট টা ফাইনাল হয়েছে। এর ফর্টি পারসেন্ট অর্থ চুক্তি মত কোম্পানির অ্যাকাউন্টে আগাম জমাও পড়ে গেছে। দূর থেকে মিসেস দেশমুখ রাণাড়ে সাহেব কে দেখে হাত নাড়লেন। লোটাস ইন্ডিয়ার জেনারেল ম্যানেজার মাধুরি দেশমুখের সঙ্গে সুমিত এগ্রোর ডিরেক্টর কাম মালিক অজেয় রাণাড়ের একটু বেশী ইন্টিমেসী এখন আর কারও অজানা নেই। এই ব্যাপারটা এখন বেশ চর্চার বিষয়!টোয়েন্টি ফোর ইন্টু সেভেন...
পপামাসীর গোয়েন্দাগিরিঃ- দ্বিতীয় অভিযান – প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত

পপামাসীর গোয়েন্দাগিরিঃ- দ্বিতীয় অভিযান – প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত

কাশবন ২, ধারাবাহিক
পপামাসীর গোয়েন্দাগিরিঃ- দ্বিতীয় অভিযান যখন পিঁপড়ে পথ দেখায় প্র ত্যু ষ   সে ন গু প্ত ।। এক।। দোর্জে শব্দের অর্থ জানিস? সকাল বেলায় পপামাসী ল্যাপটপে চোখ রেখে আমাকে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিল।আমি আড়চোখে দেখলাম ওর মেক মাই ট্রিপের ফ্লাইট পেজ খোলা! পপা মাসী কোনও জায়গায় ঘুরতে যাবার আগে সেখানকার ইতিহাস ভূগোল সব নিয়ে পড়াশোনা করে নেয়! এবার বুঝলাম মাসী কোথাও যাওয়ার প্ল্যান করছে। ছুটি জমে আছে,না নিলে নষ্ট হয়ে যাবে বলে বলছিলো। এদিকে আমারও পরীক্ষা শেষ। “তুমি কোথায় যাবার প্ল্যান করছ মাসী? আমাকে নেবে তো”? মাসী বললো,“ আমার প্রশ্নের উত্তর কই”? "দর্জি মানে তো টেলর মাস্টার। জামা কাপড় তৈরি করেন”। -দর্জি নয়,দোর্জে। অর্থ বলতে পারলে তোকে সঙ্গে নেব! আমি বললাম,আমি জানি তুমি আমাকে নেবেই। নেটে তুমি ফ্লাইটের টিকিট কাটছিলে তাতে আমার নামও দেখেছি! বলে দাওনা উত্তর টা? -পাকামো হচ্ছে? শোন,এটি একটি তিব্বতি শব্দ। বজ্রদন্ডকে ...
অভিশপ্ত রাগিনী (তৃতীয় পর্ব) – রামানুজ দাশগুপ্ত

অভিশপ্ত রাগিনী (তৃতীয় পর্ব) – রামানুজ দাশগুপ্ত

ধারাবাহিক
অভিশপ্ত রাগিনী (তৃতীয় পর্ব) রামানুজ দাশগুপ্ত ভীমানি একটা সাইনিং মানি তাদের হাতে দেয়,তারা যেন হাতের কাছে চাঁদ পেয়ে যায়৷ টাকার বান্ডিলটা নিয়ে বড়দার কাছে আসে,"দাদা এই টাকাটা আজ একটা নতুন কাজের জন্য পেলাম৷ তুমি এটা রাখো৷" কিন্তু বড়দা টাকাটা এক নিমেষে গুনে নিয়ে বলে,"ছ্যা ছ্যা এই টাকায় তো বাড়ির একটা বাথরুম ও হবে না রে!" "আমি জানি দাদা,ভগবান চাইলে আমি আরো টাকা এনে দেবোI" "রাখ তোর ভগবান,তোদের মতো অকাজের মানুষের জন্য ভগবান নেই,আমি তোকে তিন মাস সময় দিলাম৷ না হলে নিজের পথ দেখে নিবি৷ "দিব্য বাবার দেওয়া সাধের গাড়িটা বেচে দিল,সামান্য টাকায়,কিছু দিনের জন্য তো হাত খরচা চালাতে পারবে৷ কাজও শুরু করে,দুখানা গানের রেকর্ডিংও হয়ে যায়৷ নতুন একটা ছেলেকে দিয়ে গান গাওয়ানো হলো,ভীমানি তাকে প্রথম ব্রেক দিল৷ যদিও ওরা তার গাওয়াতে খুব একটা খুশী হলো না,রঙ্গনাথকে ওরা খুব মিস করছে যে শুধু তাই নয়,রেকর্ডিং এ রবি কে ডেকেছি...
রূপনগরের রূপকথা (দ্বিতীয় পর্ব) – সিঞ্চন চট্টোপাধ্যায়

রূপনগরের রূপকথা (দ্বিতীয় পর্ব) – সিঞ্চন চট্টোপাধ্যায়

ধারাবাহিক
রূপনগরের রূপকথা (দ্বিতীয় পর্ব) সিঞ্চন চট্টোপাধ্যায় (আজ লালনের পালা) লালনের আসল নাম কেউ জানেনা। কোথা থেকে এসেছে তাও কেউ জানে না। জানেন শুধু বাবামশাই। বোধহয় লালন ফকিরের গান গায় বলে বাবামশাই ওর নাম লালন রেখেছেন। অস্টিন ছাড়া বেশিরভাগএর নামই তো বাবামশায়ের দেওয়া। লালন তো শুধু ফকিরের গান গায় না, সুফি গায়, লোকসংগীতও গায়। আজ সবার খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্ব লালনের। সকাল থেকে রান্নাঘরের ব্যবস্থা সামলে তবে এসেছে রঙ্গমঞ্চে। প্রায় ২৫ জন পুরুষ ও মহিলা সেই কোন্ ভোর থেকে রান্নাঘরের কাজে ব্যস্ত। লোক তো কম নয়! তিনশ জন ছাত্র, পঞ্চাশ জন শিক্ষক ও কর্মচারী, দুশো জন সেবক ও সেবিকা, ডাক্তার ও সহকারি মিলিয়ে সেও প্রায় পঞ্চাশ জন। এছাড়াও বহিরাগত অতিথির সংখ্যা বাড়ে কমে রোজ। আজ যেমন প্রায় তিনশো লোকের রান্না হচ্ছে। রূপনগরের রান্নাঘর এর বিশেষত্ব, এখানে পুরো রান্নাটাই হয় সৌরশক্তিতে। নিচে রান্নাঘর। তার ওপরে...
বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (দ্বিতীয় ভাগ) – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (দ্বিতীয় ভাগ) – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

ধারাবাহিক
বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (দ্বিতীয় ভাগ) রঞ্জন চক্রবর্ত্তী বিদ্যাসাগরের শিক্ষা বিস্তারের নীতিতে নারী সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বেথুন ও বিদ্যাসাগরের মিলিত প্রচেষ্টায় ১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দু ফিমেল স্কুল (পরবর্তীকালে বেথুন স্কুল) স্থাপিত হয়। বাংলায় তখনও স্ত্রীশিক্ষা সমাজের অনুমোদন পায় নি। কিন্তু অভিজাত ও ভদ্রঘরের মেয়েরা বিদ্যালয়ে না এলে স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারের মূল উদ্দেশ্য সফল হবে না। এই অবস্থায় বিদ্যাসাগর শাস্ত্রবাক্য উদ্ধার করে রক্ষণশীলতার প্রাচীর ভাঙলেন। বিদ্যাসাগর ও মদনমোহন তর্কালঙ্কারের চেষ্টায় ঐ বিদ্যালয়ে মদনমোহনের দুই কন্যা ছাড়াও রামগোপাল ঘোষ, ঈশানচন্দ্র বসু, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, তারানাথ তর্কবাচস্পতি, নীলকমল বন্দোপাধ্যায়, হরপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কন্যারাও যোগ দিয়েছিল। ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দে বেথুনের মৃত্যুর পর বিদ্যাসাগরের চ...
অভিশপ্ত রাগিনী (দ্বিতীয় পর্ব​) – রামানুজ দাশগুপ্ত

অভিশপ্ত রাগিনী (দ্বিতীয় পর্ব​) – রামানুজ দাশগুপ্ত

ধারাবাহিক
অভিশপ্ত রাগিনী  রামানুজ দাশগুপ্ত  (দ্বিতীয় পর্ব) দিব্যর বড় দাদা একদিন তাকে ডেকে বাবার উইল দেখালো। বাবা বাড়ির একখানা ঘরও তার নামে নাকি লিখে দিয়ে যাননি। বড়দা বলে," শোন, শুধু তো গান বাজনা নিয়েই পড়ে রইলি। তিন পুরুষের ব্যবসা, কটা দিনই বা ব্যবসার কাজে মাথা ঘামিয়েছিস? বাবা-ই ঠিক করে গেছেন সব"। দিব্য ভাবে, এটা কি করে সম্ভব! বাবার প্রেরণা আর  উৎসাহতেই গান বাজনার জগতে আসা। বাবা-ই তো একদিন বলেছেন ব্যবসা দেখার জন্য তো ওরা আছে তুই তোর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা কর। আমি তো আছি মাথার ওপর। বাবা তাকে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িও কিনে দিয়েছিল। সেই বাবা তাকে একখানা ঘরও দিয়ে যাননি, এটা কি করে সম্ভব ! দিব্য চুপ করে বসে থাকে। বড়দা বলেন, “শুনছি তো বেশ নামডাক হচ্ছে। পয়সাও নিশ্চয়ই ভালো কামাস।কটা পয়সা সংসারে দিয়েছিস ? যাক,একটা কথা শুনে রাখ, ছয় মাস সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে বাড়ির একটা সামান্য অংশ যদি কিনে নিতে প...
রূপনগরের রূপকথা (প্রথম পর্ব ) – সিঞ্চন চট্টোপাধ্যায়

রূপনগরের রূপকথা (প্রথম পর্ব ) – সিঞ্চন চট্টোপাধ্যায়

ধারাবাহিক
রূপনগরের রূপকথা সিঞ্চন চট্টোপাধ্যায় (আমাকে ব্রাত্য করেছো জেনেও আজ তোমারি নামাবলী গায়ে আবার আমার মাধুকরী) বাসবদত্তার মনের পাতা থেকে বাবা মশাই বসে আছেন মঞ্চে, তার নিজের কথায় “রঙ্গমঞ্চ”।সামনে শতাধিক ভিন্ন বয়সের পুরুষ ও মহিলা বসে আছে। একের পর এক প্রশ্ন শুনছেন, টিপ টিপে হাসছেন, স্বভাবজাত ভঙ্গিতে উত্তর দিচ্ছেন। কেউ অবান্তর প্রশ্ন করলে ডান হাত তুলে থামিয়ে দিচ্ছেন।মুহূর্ত চোখ বন্ধ করে ভেবে নিচ্ছেন। তারপর চোখ খুলে প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিচ্ছেন। বেলা প্রায় বারোটা। ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয়েছে রঙ্গমঞ্চ। এবেলায় আরো একঘন্টা চলবে। আজ বাবামশাইয়ের শরীরে বাসন্তী রং। খোলতাই ফর্সা রঙে বাসন্তী রং মানায় খুব ভালো। এই পোশাক বাসবদত্তা নিজে হাতে সেলাই করেছে, তাই এটা বাবামশাই পরলে ওর মনটা ভালো থাকে। শুরুতে ভালই ছিল, যত সময় এগোচ্ছে ওর মেজাজ খারাপ হচ্ছে। যদিও রূপনগরে খারাপ মেজাজ প্রকাশ কর...
বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (প্রথম ভাগ) – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর (প্রথম ভাগ) – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী

ধারাবাহিক, প্রবন্ধ
  বাংলা ভাষায় শিক্ষার সূচনাপর্ব এবং বিদ্যাসাগর রঞ্জন চক্রবর্ত্তী (প্রথম ভাগ) ত্রয়োদশ শতকে বাংলা মুসলমান সুলতানদের শাসনাধীন হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অবক্ষয় দেখা দেয়। এরপর ঔপনিবেশিক শাসকদের আমলে ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস গভর্ণর জেনারেল হন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ভারতে ব্রিটিশ শাসনকে দৃঢ় করতে হলে স্থানীয় মানুষদের আয়ত্বে রাখতে হবে এবং তাদের মনোভাব বুঝতে হবে। এজন্য স্থানীয়দের ভাষা, রীতিনীতি, ধর্ম ও আচার-ব্যবহার জানা দরকার। এই উদ্দেশ্য তিনি যে সংস্কারমূলক কাজগুলি শুরু করেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিল বাঙালীর ভাষা ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেওয়া। প্রশাসনিক কাজে সহায়তা ছাড়াও এর পিছনে একটি পরোক্ষ কারণ ছিল। খ্রিষ্টান মিশনারীরা বুঝেছিলেন দেশীয় মানুষদের খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করতে হলে তাদের ভাষা ও ধর্ম জানা আবশ্যক। ইংল্যাণ্ড থেকে যেসব কর্মচারীরা প্রশাসনিক কাজের জন্য এদেশে ...
অভিশপ্ত রাগিনী(প্রথম পর্ব​)- রামানুজ দাশগুপ্ত

অভিশপ্ত রাগিনী(প্রথম পর্ব​)- রামানুজ দাশগুপ্ত

ধারাবাহিক
  অভিশপ্ত রাগিনী(প্রথম পর্ব​) রামানুজ দাশগুপ্ত ওরা ছিল চারজন। ধরে নেওয়া যাক রাম-শ্যাম-যদু-মধু কারণ ওদের আসল নাম গুলোর অস্তিত্ব আজ আর নেই। অনেকদিন আগেই ধুয়ে মুছে গেছে।ওরা মিলেছিল শেষ পর্যন্ত একই জায়গায় যেমনটা হয়েছিল গুপী আর বাঘার।গুপী বাঘার গানবাজনা সবার কাছে কর্ণ পীড়াদায়ক ছিল তাই সমাজের লোক তাদের বের করে দিয়েছিল, তারপর ভূতের রাজার বর ও বাকি কথা তো সবারই জানা কিন্তু রাম শ্যাম যদুর গান-বাজনা তো একদিন ঘরে ঘরে সোনালী আলোর আবেশ তৈরি করত। তা সত্বেও সমাজ তাদের বার করে দিয়েছে। আজ কোথায় তারা? হয়তো বর্তমানকালের ইউ-টিউব সার্চ করলে তাদের দু চার খানা গান পাওয়া গেলেও যেতে পারে কিন্তু এখনকার কোন সঙ্গীতপ্রেমী কি তাদের মনে রেখেছে না তাদের নিয়ে আলোচনা করে থাকে! ওরা বেঁচে আছে কি মরে গেছে দু-চারজন ছাড়া কেউ জানেনা এই চারজনের মধ্যে ডঃ শম্ভুনাথ মিশ্র  একজন  যিনি। দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতার এক ...
error: বিষয়বস্তু সুরক্ষিত !!